বর্ষসেরা টেস্ট দলে অস্ট্রেলিয়ার জয়জয়কার


২০২২ সালে ১১টি টেস্ট খেলে ৭টিতেই জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, জয়ের হার বছরের সর্বোচ্চ ৬৩.৬৩ শতাংশ। দলগত সাফল্যই বলে দিচ্ছে অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের পারফরম্যান্স কেমন ছিল, যার ছাপ পড়েছে আইসিসি বর্ষসেরা টেস্ট দলে। ১১ জনের ৪ জনই অস্ট্রেলিয়ার।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তিনজন আছেন ইংল্যান্ডের। এর বাইরে ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড় আছেন একজন করে। টেস্ট খেলুড়ে ১২টি দেশের মধ্যে ২০২২ সালে খেলেছে ৯টি দল। এর মধ্যে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও নিউজিল্যান্ডের কেউ সেরা ১১ জনে নেই।
আইসিসির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত বর্ষসেরা টেস্ট দলে অধিনায়ক করা হয়েছে ইংল্যান্ডের বেন স্টোকসকে। ৬ নম্বরে নেমে ২টি সেঞ্চুরিসহ ৮৭০ রান এবং বল হাতে ১৮.৭০ গড়ে ১০ উইকেট নেন ইংলিশ এই অধিনায়ক। বর্ষসেরা একাদশে জাতীয় দল পর্যায়ের অধিনায়ক আছেন আরও তিনজন—পাকিস্তানের বাবর আজম, ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রেইগ ব্রাফেট ও অস্ট্রেলিয়ার প্যাট কামিন্স।
ভোটাভুটির মাধ্যমে গড়া টেস্ট একাদশে বছরের সেরা দুই ওপেনার অস্ট্রেলিয়ার উসমান খাজা ও ব্রাফেট। অ্যাশেজের সিডনি টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৩৭ ও ১০১* রানের ইনিংস খেলা খাজা পুরো বছরে মোট ১ হাজার ৮০ রান করেন। উইন্ডিজ অধিনায়ক ব্রাফেটের বছর কেটেছে ১৪ ইনিংসে ৬২.৪৫ গড়ে ৬৮৭ রানে।
ব্যাটিং লাইনআপে জায়গা পাওয়া অন্যদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার মারনাস লাবুশেন ৫৬.২৯ গড়ে ৯৫৭ রান, পাকিস্তানের বাবর আজম ৬৯.৯৪ গড়ে ১ হাজার ১৮৪ রান, ইংল্যান্ডের জনি বেয়ারস্টো ৬৬.৩১ গড়ে ১ হাজার ৬১ রান এবং ভারতের ঋষভ পন্ত ৬১.৮১ গড়ে ৬৮০ রান তোলেন।
বোলারদের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার কামিন্স ১০ ম্যাচে ৩৬ উইকেট, দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা ৯ ম্যাচে ৪৭ উইকেট, অস্ট্রেলিয়ার নাথান লায়ন ১১ ম্যাচে ৪৭ উইকেট এবং ইংল্যান্ডের জিমি অ্যান্ডারসন ৯ টেস্টে ৩৬ উইকেট নেন।
আইসিসি বর্ষসেরা টেস্ট দল:
উসমান খাজা, ক্রেইগ ব্রাফেট, মারনাস লাবুশেন, বাবর আজম, জনি বেয়ারস্টো, বেন স্টোকস, ঋষভ পন্ত, প্যাট কামিন্স, কাগিসো রাবাদা, নাথান লায়ন ও জিমি অ্যান্ডারসন।
এএজে
