ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

কীভাবে কন্ট্রোল করবেন ‘ইমোশনাল ইটিং’

কীভাবে কন্ট্রোল করবেন ‘ইমোশনাল ইটিং’
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

অনেকেই মন খারাপ থাকলে বা খুব বেশি কাজের প্রেশারে থাকলে কিছুক্ষণ পরপরই খাবার খেতে থাকেন। কী খাবার খাবেন, তা চিন্তা করতে থাকেন। মন খারাপ থাকলে বা কোনো কিছু নিয়ে অতিরিক্ত স্ট্রেসে থাকলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়াকে বা খাবার খেতে চাওয়াকে বলে ‘ইমোশনাল ইটিং’। আমরা অনেকেই এ ধরনের সমস্যায় ভুগে থাকি।

ইমোশনাল ইটিংয়ের কারণে প্রধানত আমাদের ওজন অনেক বেশি বেড়ে যায়। স্ট্রেসে থাকলে, সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার কারণে, মানসিক অবসাদে বা কাজের চাপে আমরা সাধারণত জাঙ্ক ফুড বা মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশি খাই। এর ফলে আমাদের ওজন অনেক বেশি বেড়ে যায় এবং পরে তা আবার সঠিক মাপে আনতে অনেক বেশি ভুগতে হয়।

মানসিক অবসাদের কারণে যেহেতু জাঙ্ক ফুড, মিষ্টিজাতীয় খাবার আপনি অতিরিক্ত পরিমাণ খেয়ে চলেছেন, তাই এর লাগামও আপনাকে টানতে হবে। আর এই পুরো বিষয়টাই মনস্তাত্ত্বিক।

স্ট্রেসে থাকাকালে যখন আপনার মনে হবে, আপনি জাঙ্কফুড বা মিষ্টিজাতীয় কিছু খেতে চাচ্ছেন, তখন একটি ডায়েরি আর কলম নিয়ে বসুন। ডায়েরিতে লিখুন আর নিজেকে প্রশ্ন করুন, আপনার আসলেই ক্ষুধা লেগেছে কিনা। তারপর যে উত্তর আপনার মনে আসবে, সেই উত্তরটিই আপনি ডায়েরিতে আবার লিখুন। এভাবে নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করুন, ক্ষুধার যে অনুভূতি আপনার হচ্ছে, সেটা পুরোটাই মানসিক; আসলে আপনি ক্ষুধার্ত নন।

মানসিক অবসাদ নিয়ে কাজ করছেন—এমন কয়েকজন বিশেষজ্ঞ বলেছেন, উপরের পদ্ধতিতে আপনি ১৫-২০  মিনিটের মাঝেই ক্ষুধার্ত ভাব থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর যদি আপনি কোনো কারণে বোর ফিল করে থাকেন, তবে সেই সময়টা নিজের ত্বকের যত্ন নিতে পারেন। রিল্যাক্সিং হট বাথ, পেডিকিউর, মেনিকিউর বা ফেস মাস্ক ব্যবহার করে নিজের স্ট্রেসকে দূরে রাখতে পারবেন।


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন