ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

কলাপাড়ায় উপকূল দিবস পালিত

কলাপাড়ায় উপকূল দিবস পালিত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

আজ সেই ভয়াল ১২ নভেম্বর। ১৯৭০ সালের আজকের এই দিনে ১৮৫ কিলোমিটারে বেগে বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে একটি ঘূর্ণিঝড়। এতে উপকূলীয় অঞ্চল জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ১০ লাখের বেশি লোকের প্রাণহানি ঘটে।

জলবায়ু-বিপন্ন উপকূল বাসীর সুরক্ষার জন্য জলবায়ু ন্যায্যতার দাবি জোরালো হোক  ৭০-এর ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরণ এবং উপকূল দিবস উপলক্ষে শনিবার সকাল ১১টা কলাপাড়া পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়ক (মনোহরি পট্টিতে)  ১২ নভেম্বর দিবসটি পালিত হয়। ‘কলাপাড়া সম্মিলিত নাগরিক অধিকার জোটের সভাপতি সৈয়দ রেজাউল করিম’র সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন সাংবাদিক হাবিবুল্লাহ রানা, গৌতম চন্দ্র হাং, সৈয়দ মো.রাসেল, বিএইচ, এম, সুমন তাং, কামাল হাং, ইয়াকুব খাঁনসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, কলাপাড়ার গণমাধ্যম কর্মী, জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার নাগরিকগণ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা বলেন, ১৯৭০সালের ভয়াল ১২ নভেম্বর এই দিনের বেদনা বিধূর ইতিহাস বাঙালি জাতি আজো ভুলতে পারেনি। ভেসে যায় গবাদিপশু, হাঁস-মুরগি আর ক্ষতিগ্রস্থ হয় মাঠ ফসল এবং অসংখ্য গাছপালা, পশু-পাখি। পুরো উপকূল মুহূর্তেই ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়।

উপকূলজুড়ে চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকে লাশ আর লাশ। লাশের গন্ধ আর স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে ওঠে এলাকার আকাশ-বাতাস। সমগ্র উপকূল জুড়ে বয়ে যায় মহা প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাস। প্রান বির্সজন দিয়েছে উপকূলের ১০ লক্ষাধিক মানুষের মানুষ। সংকট আর সম্ভাবনা নিয়ে বাংলাদেশের দক্ষিণে সমুদ্র রেখায় জেগে আছে উপকূল অঞ্চল। এ জনপদের মানুষদের প্রতিনিয়ত প্রতিক‚ল পরিবেশের সঙ্গে লড়াই করে টিকে থাকতে হচ্ছে। কখনো ঘুর্ণিঝড়ে লন্ডভন্ড হয়, কখনো জলোচ্ছ্বাস ভাসে। প্রতি বছর দুর্যোগে হাজারো মানুষের প্রাণনাশ কোটি কোটি টাকার সম্পদহানী ঘটে। চারদিকে শুধু আতঙ্ক আর আতঙ্ক। উপকূলের মানুষের হাজারো সমস্যা থেকে উত্তোরণের জন্য সবার সহায়তা প্রয়োজন। দরকার টেকসই উদ্যোগ। 

উল্লেখ্য ১২ নভেম্বর প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে প্রয়াত ব্যক্তিদের স্মরনে গতকাল শুক্রবার পৌর শহরের শহীদ সুরেন্দ্র মোহন চৌধুরী সড়ক (মনোহরি পট্টিতে) মোমবাতি প্রজ্বলন রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়। ভয়াল ১২ নভেম্বরকে  রাস্ট্রীয়ভাবে উপকূল দিবস হিসাবে স্বীকৃতি দেয়ার দাবী জানানো হয়। পরে জলোচ্ছ্বাসে নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন হাফেজ মো. মাহমুদ হাসান।


 


এএজে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন