ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

পটুয়াখালীতে বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে পর্যটকসহ যাত্রীরা

পটুয়াখালীতে বাস ধর্মঘটে দুর্ভোগে পর্যটকসহ যাত্রীরা
বাস না পেয়ে হেঁটে হেঁটে রওনা দেন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীরা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরিশাল-পটুয়াখালীসহ জেলার সকল অভ্যন্তরীণ রুটে মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের বাস ধর্মঘট চলছে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে যাত্রীবাহী বাস চলাচল বন্ধের ঘোষণা দেয় পটুয়াখালী জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতি। ফলে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে লঞ্চে আসা পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটায় আগত যাত্রীসহ এ অঞ্চলের বিভিন্ন রুটে যাতায়াতকারী যাত্রীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।

বিএনপি নেতাদের দাবি, আগামীকাল শনিবার (৫ নভেম্বর) বিএনপির বরিশাল বিভাগীয় গণসমাবেশে নেতা-কর্মী-সমর্থকদের যোগদান বাধাগ্রস্ত ও সমাবেশ বানচাল করতে পরিকল্পিতভাবে এ ধর্মঘট ডাকা হয়েছে।

পটুয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন জানান, মহাসড়কে ত্রি-হুইলার, টমটম, নসিমন, অটোরিক্সাসহ সকল অবৈধ যানবাহন চলাচলে মহামান্য হাইকোর্টের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা থাকলেও স্থানীয় প্রশাসন এ ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। বিভিন্ন সময়ে এ নিয়ে তাদের সাথে সভায় দাবি জানানো হয়। কিন্ত এ ব্যাপারে তারা অজ্ঞাত কারণে কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না। ফলে সড়কে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এ কারণে মধ্যরাত থেকে তাদের অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট চলছে। ধর্মঘটে আওয়ামী লীগের দলীয় কোনো নির্দেশনা বা হস্তক্ষেপ নেই বলেও জানান রিয়াজ উদ্দিন।

পটুয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. মজিবুর রহমান টোটন বলেন, আমাদের বরিশাল গণসমাবেশকে বানচাল করার জন্য পূর্বপরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক হয়রানি করার জন্য এই বাস ধর্মঘট। তার পরেও আমাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকেরা যে যেভাবে পারছে সেভাবেই বরিশাল পৌঁছাতে শুরু করেছে। গণ সমাবেশ আমরা সফল করবই। কোনোভাবেই আওয়ামী লীগ আমাদের আটকাতে পারবে না।

ঢাকা থেকে ডাবল ডেকার লঞ্চে কুয়াকাটার উদ্দেশে আসা পর্যটক হুমায়ুন কবির বলেন, কুয়াকাটায় যাচ্ছি। লঞ্চ থেকে নামার পর জানতে পারি বাস ধর্মঘট। এখন যে কোনো উপায়ে কুয়াকাটা যেতে হবে। পরিবার পরিজন নিয়ে ব্যাটারিচালিত অটোরিক্সায় কুয়াকাটায় যেতে হচ্ছে।

ঢাকা থেকে কলাপাড়ায় বেড়াতে আসা নাজনীন বেগম, হনুফা বেগম, সাকিব হাওলাদার, রব মোল্লা বলেন- ঢাকা থেকে লঞ্চে এসে নামার পর বাস ধর্মঘট চলছে জানতে পারি। আমরা পাঁচটি পরিবারের বাচ্চা-কাচ্চা নিয়ে ১৮ জন। কলাপাড়া উপজেলার চাপলি বাজারে আমাদের এক নতুন আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে এসেছি। এখন বাস টার্মিনালে এসে দেখি যাওয়ার মত কিছুই নেই। গন্তব্যে যেতে অনেক কষ্ট হবে বলে দীর্ঘশ্বাস ফেলেন তারা।
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন