মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে শিশুকে হত্যা, ঘাতক আটক


নোয়াখালীর সেনবাগে মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে মো. মিজানুর রহমান ওরফে আশরাফুল (৬) নামে এক শিশুকে হত্যা করে মাটিতে পুতে রাখে ঘাতক আলাউদ্দিন।
মঙ্গলবার (০৭ এপ্রিল) সকালে উপজেলার কাদরা ইউনিয়নের নজরপুর গ্রামের জিতু সওদাগর বাড়ি থেকে আসামিকে আটক করে পুলিশ। সে একই বাড়ির মৃত মমতাজ মিয়ার ছেলে এবং নিহত আশরাফুলের মা হাজরা খাতুনের সাবেক স্বামী।
বুধবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ৩টায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল বাতেন মৃধা।
তিনি আরও জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আসামি আলাউদ্দিন ঘটনার সঙ্গে জড়িত বলে স্বীকার করেছে। পরে মঙ্গলবার দুপুরে তাকে নোয়াখালীর আমলী আদালত- ৪ এর বিচারক নবনিতা গুহের আদালতে হাজির করলে শিশু আশরাফুলকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর মরদেহ তেলি পুকুর পাড় এলাকার খাল পাড়ে মাটি চাপা দিয়ে রাখে বলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার (৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টার দিকে শিশু আশরাফুলের মরদেহ নজরপুর গ্রামের তেলি পুকুর এলাকার একটি বাগান থেকে উদ্ধার করা হয়। নিহত আশরাফুল উপজেলার ডমুরুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর শ্রীপুর গ্রামের মীর বাড়ির আবুল কাশেম মীরের ছেলে। সে স্থানীয় গাজীরহাট সানরাইজ একাডেমির প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল।
এর আগে, গত শুক্রবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকে নিখোঁজ ছিল। পরে একই দিন রাতে তার বাবা থানায় একটি নিখোঁজ জিডি (সাধারণ ডায়রি) করেছিলেন। এরপর ঘটনার তিনদিন পর সোমবার সন্ধ্যায় তেলি পুকুর এলাকার বাগানে নিখোঁজ শিশুর মরদেহের সন্ধ্যান পাওয়া যায়। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে।
ওসি আবদুল বাতেন মৃধা বলেন, আশরাফুলের মা হাজরা খাতুনের সাবেক স্বামী মো. আলোউদ্দিন তার মায়ের ওপর প্রতিশোধ নিতে শিশুটিকে একা পেয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার করে মরদেহ মাটিতে পুঁতে রাখে। আসামি আলাউদ্দিন নিহত আশরাফুলের মায়ের প্রথম স্বামী ছিল। পরে তাদের মধ্যে ছাড়াছাড়ি হয়ে গেলে আলাউদ্দিন হাজরা খাতুনের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। এর জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে। মরদেহ উদ্ধারের ১ দিনের মাথায় পুলিশ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করে।
/ইই
