তালতলীতে ৮ বছর পর উপজেলা আ.লীগের সম্মেলন শনিবার


৮ বছর পর আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বরগুনার তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। বিভিন্ন সময় দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে প্রার্থী হওয়া নেতাদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীরা এমনকি জেলা আওয়ামী লীগও তাদের সাথে একাট্টা। এ সম্মেলনকে ঘিরে পদ পদবীর জন্য ইতিমধ্যেই মাঠে নেমেছেন একাধিক নেতাকর্মী। আলোচনায় আছেন বিদ্রোহীরাও।
তবে কেন্দ্রীয় এবং জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা বলছেন, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্যকারীরা পাবেননা কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদ। মূল্যায়ন হবে দলের ত্যাগী নেতাদের। সর্বশেষ ২০১৪ সালের ২১ জুলাই অনুষ্ঠিত হয় তালতলী উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন। ওই সম্মেলনে মো. রেজবি-উল কবির জোমাদ্দারকে সভাপতি এবং মু. তৌফিকউজ্জামান তনুকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠন করা হয়। এর দীর্ঘ্য ৮ বছর পর আগামীকাল ২৯ অক্টোবর তালতলী সরকারি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন। সম্মেলন উদ্বোধন করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু।
প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে) অ্যাড. আফজাল হোসেন। প্রধান বক্তা থাকবেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. জাহাঙ্গীর কবির। এছাড়াও কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত থাকবেন।
বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের জেষ্ঠ্য সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম সরোয়ার টুকু বলেন, বিগত দিনে যারা দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করেছে এবং দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন, তাদের কমিটির কোন গুরুত্বপূর্ণ পদে না দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আব্দুল মোতালেব মৃধাও একই কথা বলেন।
এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের পরামর্শ অনুযায়ী সবকিছু হবে। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাড. আবজাল হোসেন বলেন, যারা বিগত দিনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করেছেন, তাদের কমিটির গুরুত্বপূর্ণ পদে অথবা কোন নির্বাচনে মনোনয়ন না দেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত রয়েছে। এটি কারো ব্যক্তিগত নয়, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্ত।
এইচকেআর
