বাংলাদেশকে পাত্তাই দিলো না দক্ষিণ আফ্রিকা


দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পত্তাই পেল না টিম টিইগার্সরা। দক্ষিণ আফ্রিকার দেয়া ২০৬ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে তারা অলআউট হয়ে গেছে মাত্র ১০১ রানে।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিশ্চিত জয়ের ম্যাচে বৃষ্টিতে পয়েন্ট ভাগাভাগির পর বাংলাদেশকে ১০৪ রানে উড়িয়ে টুর্নামেন্টে নিজেদের সম্ভাবনা আরও পাকাপোক্ত করল চোকার্সরা।
এ নিয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তিনবার এবং সর্বমোট আটবারের দেখায় প্রতিবারই জয় পেল দক্ষিণ আফ্রিকা।
বৃহস্পতিবার (২৭ অক্টোবর) সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই বাংলাদেশি বোলারদের ওপর চড়াও হন প্রোটিয়া ব্যাটাররা। রাইলি রুশোর অনবদ্য সেঞ্চুরি এবং ডি ককের হার না মানা ব্যাটিংয়ে ভর করে ২০৫ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় দক্ষিণ আফ্রিকা। বড় টার্গেট তাড়া করতে নেমে এলোমেলো ব্যাটিংয়ে বড় ব্যবধানে হারই সঙ্গী বাংলাদেশের।
বোলিংটা ভালো হয়নি। তাসকিন-সাকিবদের নিয়ে ছেলেখেলায় মেতেছিল রাইলি রুশো-ডি ককরা। ব্যাটিংয়ে নেমেও স্বস্তিতে ছিল না বাংলাদেশ। এনরিখ নর্কিয়াদের গতির আগুনে পুড়ে ছারখার হয়ে গেছে টাইগার ব্যাটিং।
যদিও টার্গেট তাড়ায় শুরুটা ভালো ছিল বাংলাদেশের। কাগিসো রাবাদার করা প্রথম ওভারেই চড়াও হন টাইগার দুই ওপেনার। সৌম্য সরকারের দুই ছক্কার পর চার মেরে হাত খোলেন শান্ত। রাবাদা এক ওভারেই দেন ১৭ রান। মনে হচ্ছিল যেন প্রোটিয়া ব্যাটারদের ‘ইটের বদলে পাটকেল ছুড়ছেন’ টাইগার ব্যাটাররা।
তবে মোমেন্টাম বেশিক্ষণ ধরে রাখতে পারেননি ওপেনাররা। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে এনরিখ নর্কিয়ার বলে কট বিহাইন্ড হয়ে ৬ বলে ১৫ রান করে ফিরে গেছেন সৌম্য। টাইগার এ ব্যাটারের বিদায়ের পর পথ হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশও। দলীয় ২৬ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারানোর পর ২৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন।
নর্কিয়ার গতির কাছে পরাস্ত হন শান্ত। আড়াআড়ি মারতে গিয়ে উড়ে যায় স্টাম্প। ৪ বল ও ১ রানের মাথায় ফিরেন দুই ওপেনার। সাজঘরে ফেরার আগে নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ৯ বলে ৯ রান।
প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারের তৃতীয় শিকার টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ওভার দ্য উইকেট থেকে করা বলটি আঘাত হানে সাকিবের প্যাডে, জায়গা বানিয়ে ফ্লিক খেলার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। আম্পায়ার রড টাকারের দেয়া এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত রিভিউ করার প্রয়োজন মনে করেননি সাকিব। ৩৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৩টি উইকেট নেন নর্কিয়া।
প্রোটিয়া ফাস্ট বোলারের পর রাবাদা ও শামসিদের কাছে পরাস্ত বাকি ব্যাটাররা। শেষ পর্যন্ত অলআউট ১০১ রানে।
কেআর
