বাউফলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ১০


পূর্ব বিরোধের জেরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার রায়-তাঁতেরকাঠী গ্রামে সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১০ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে আট জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন,ইদ্রিস হাওলাদার (৪৮), ফিরোজ হাওলাদার (৪০), মো. আনোয়ার হোসেন (১৮), মোসা. মিনারা বেগম (৪০),মো. মজিবর হাওলাদার (৪০), মো. লিপি বেগম (৩৫),মো. বাদশা (৫৫), মোসা. জুথি (১৪)।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ২৭ জুলাই অনুষ্ঠিত নাজিরপুর তাঁতেরকাঠী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ২ নম্বর ওয়ার্ডর উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করে রায়-তাঁতেরকাঠী গ্রামের ইদ্রিস হাওলাদারের (৪০) সঙ্গে একই গ্রামের মজিবর হাওলাদারের সঙ্গে বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই নির্বাচনে ইদ্রিস আপেল প্রতীকের ফকরুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন। মজিবর ফুটবল প্রতীকের শফিকুল ইসলামের সমর্থক ছিলেন। নির্বাচনে শফিকুল বিজয়ী হন। ওই বিরোধকে কেন্দ্র করেই আজ সোমবার বেলা ১১ টার দিকে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে।
যদিও এ কথা মানতে নারাজ ইদ্রিস হাওলাদার। তিনি বলেন,এটা নির্বাচনী কোনো বিষয় না। গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে তাঁর শ্যালক মো. আল আমিনের স্ত্রী মোসা. সাহিদা বেগমকে (৩০) ডেকে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালায় মজিবর। এ ঘটনা সাহিদা তাঁর স্বজনদের কাছে বলে দেওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে মজিবরের নেতৃত্বে হামলা চালালে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
সাহিদা বলেন,মজিবর সম্পর্কে আমার মামাতো ভাসুর। শনিবার সন্ধ্যার দিকে কথা শুনতে বলেন মজিবর। ঘরে ঢুকলে দরজা আটকিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান মজিবুর। ওই ঘটনা কারো কাছে বললে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি (মজিবর)। এরপরেও তিনি তাঁর স্বামী ও স্বজনদের জানিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়েই মজিবর ও তাঁর লোকজন তাঁদের বাড়িতে হামলা চালিয়েছে।
এ বিষয়ে মজিবুর হাওলাদার বলেন,তাঁর কাছে ইদ্রিস দশ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করেছে। না দেওয়ায় হয়রানি করার জন্য ধর্ষণ চেষ্টার মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। তাঁর স্ত্রী লিপি বেগম বলেন,আপেল ও ফুটবলে ভোট দেওয়াকে কেন্দ্র করে এই মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
বাউফল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফিরোজ আল মামুন বলেন,‘পারিবারিকভাবে দুই পক্ষই একে অপরের আত্মীয়। পূর্ব বিরোধের জেরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ‘
এএজে
