আমতলীতে চাঁদা না পেয়ে কুপিয়ে জখম


আমতলী উপজেলার কবিরাজ পাড়া গ্রামে সন্ত্রাসীদের কর্তৃক মারধর নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়া ও বাদীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে পুলিশের ইচ্ছাানুযায়ী মামলা নেয়ার অভিযোগে সোমবার দুপুরে আমতলী সাংবাদিক ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেছেন কবিরাজ পাড়া গ্রামের মো. হারুন অর রশিদ মোল্লা।
হারুন অর রশিদ মোল্লা তাঁর লিখিত বক্তব্যে বলেন, একই এলাকার ভুমি দস্যু মাদকাসক্ত আলমগীর, জাঙ্গাগীর শাহআলম ,ইব্রাহিম হারুন মোল্লার ভাই ফারুক মোল্লার কাছে দুই লক্ষ টাকা চাঁদা চায়।
চাঁদার টাকা না দেয়ার কথা বললে সন্ত্রাসীরা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকি প্রদান করে গত ৩১ আগস্ট রাত অনুমান ৮ টার সময় কবিরাজ পাড়া বাজারে ফারুক মোল্লা ধান রোপন শ্রমিক বদলা ও জমি চাষের মেশিনের টাকা দেওয়ার জন্য ৪৫ হাজার টাকা নিয়া ডাক্তার হুমায়ুন কবিরের ফার্মিসির সামনে পৌছিলে দেশিও অস্ত্র দ্বারা ভয়ভিতি দেখিয়ে মারধর করে পকেটে থাকা ৪৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়।
এ খবর শুনে হারুন মোল্লা ঘটনা স্থলে গেলে তাকেও সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। এসময় আমাদের ডাক চিৎকারে কবিরাজ পাড়া বাজারের ব্যাবসায়ী ও স্থানীয় ইপি সদস্য ছুটে এসে তাদের বাধা প্রদান করেন। স্থানীয় গ্রামবাসী তাদের ঘেরাও করে রেখে থানায় খবর দিলে এস আই সিদ্দিক এর নেতৃতীতে এস আই মাহাবুব এস আই পলাশ এস আই এনায়েত মোবারোকসহ দুই জন কনেস্টবল নিয়া কবিরাজ পাড়া বাজারে আসেন। একটি দোকানের পাশে দাড়িয়ে থাকা সন্ত্রাসী আলমগীরের স্ত্রীর সাথে দেখা করে নগদ ২০ হাজার টাকা নেয় তাঁরা।
ঘটনার বিষয় না জেনে শুনে হারুন মোল্লাকে যারা উদ্ধার করে প্রথমিক চিকিৎসার জন্য ফার্মিসিতে নিয়ে আসে তাদেরকে পিঠানো শুরু করে এবং মহিলার মেম্বারকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। মেম্বারের স্বামী মাসুদ রানা স্থানীয় অপু , সিয়াম, নারগিছ ওলি , টুকু, শিউলি, রাজিব, আলী, হালিমা, হারুন খাকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় ফারুক মোল্লাকে এস আই সিদ্দিক ও কনস্টেবল মোবারোক পিঠায় ও লাথি মারে এবং জনসাধারণের হাতে আটক সন্ত্রাসী ইব্রাহীমকে থানায় নিয়া জোর পূর্বক স্বাক্ষর নিয়া মিথ্যা অবান্তর কথা লিখিয়া মামলা রুজু করেন। এ ঘটনায় হারুন মোল্লা ন্যায় বিচার পাওয়ার প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।
এ ব্যাপারে তালতলী থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাখোয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন. বিষয়টি সম্পর্কে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
