প্রেমিকার 'ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন' মামলায় গ্রেপ্তার প্রেমিক

প্রেমিকার করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় প্রেমিককে গ্রেপ্তার করেছে বগুড়া জেলা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। রবিবার সন্ধ্যায় তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, শনিবার মধ্যেরাতে টাঙ্গাইলের পূর্ব উপজেলা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওই নারীর সঙ্গে একাধিকবার দেশের বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে রাত্রিযাপন করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া প্রেমিক।
গ্রেপ্তার যুবকের নাম সারোয়ার আরিফ ওরফে আলিফ (২৫)। তিনি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার কাঠাল বিলবোকা গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। ভুক্তভোগী নারী বাদী হয়ে গত ২৭ মে বগুড়া সদর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।
মামলায় অভিযোগ তোলা হয়, গ্রেপ্তার হওয়া আলিফ ওই নারীর অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক।
পুলিশ জানায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে আলিফের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় হয়। পরে তারা দুজনে নাটোর জেলায় দেখা করেন। ওই দিনই তারা কুষ্টিয়াতে ঘুরতে যান। সেখানে একটি আবাসিক হোটেলে একসঙ্গে রাত যাপন করতে বাধ্য করেন আলিফ। এতে ওই নারী ক্ষিপ্ত হলে আলিফ বিয়ের প্রলোভন দেয়। এতে তাদের প্রেমের সম্পর্ক স্থায়ী হয়।
পরবর্তীতে তারা খুলনা, সুন্দরবন, সেন্টমার্টিন, কিশোরগঞ্জ, ভৈরবসহ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরতে যায়। সাত দিনের ট্যুরে তারা সেন্টমার্টিনে ঘুরতে গিয়েছিলেন। সেখানে হোটেল রুমে থাকাকালীন ওই নারীর কিছু অশ্লীল ছবি ধারণ করেন আলিফ। এ ছাড়া ভুক্তভোগী নারী চাকরির সুবাদে টাঙ্গাইল জেলায় বদলি হলেও সেখানে গিয়ে বাসা ভাড়া করে থাকতেন আলিফ। আর সেই বাসায় ওই নারীকে থাকতে বাধ্য করতেন আলিফ।
গত ঈদের সময় থেকেই বিভিন্ন কারণে ওই নারী আলিফের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। এতে আলিফ ভুক্তভোগী নারীকে সন্দেহ করা শুরু করেন। একপর্যায়ে আলিফ তার কাছে থাকা অশ্লীল ছবিগুলো তার ব্যবহৃত ফেকফেসবুক আইডি থেকে ছড়িয়ে দিতে থাকেন। ম্যাসেঞ্জারের মাধ্যমে ওই নারীর অশ্লীল ছবিগুলো তার (নারীর) বন্ধু-বান্ধব, অফিস স্টাফসহ আত্মীয় স্বজনদের পাঠিয়ে দেন।
ডিবি পুলিশের ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আলিফকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তার মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। তার ফোনে থাকা ফেক ফেসবুক আইডি থেকে অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এমবি
