বাউফলে ভূমিহীন ও গৃহহীন যাচাই-বাছাই করতে জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে একটি দল গ্রামে


মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করার লক্ষ্যে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের যাচাই-বাছাই করতে আজ মঙ্গলবার সরেজমিন পরিদর্শনে এসেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ১৭ সদস্যের একটি দল।
ওই সদস্যের মধ্যে ছিলেন তিনজন এডিসি, চারজন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট। তাঁরা এ উপজেলার ধূলিয়া, চন্দ্রদ্বীপ, কেশবপুর, কালিশুরী, কাছিপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় গ্রামে গ্রামে সরেজমিনে ঘুরে ঘুরে চারশ ৬০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার যাচাই-বাছাই করেছেন।
বাউফল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আল-আমিন এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক অনুমোদিত নকশা অনুযায়ী ৩৯৪ বর্গফুট আয়তনের দুই কক্ষবিশিষ্ট প্রতিটি গৃহে একটি করে শৌচাগার, রান্নাঘর ও বারান্দা থাকবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে ব্যয় হবে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকা। দুই দফায় এ উপজেলায় তিনশ ৯৪ গৃহ নির্মাণ করা হয়েছে। আরও চারশ ৬০ ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে ২ শতাংশ খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদানপূর্বক প্রতিটি পরিবারকে একটি করে সেমিপাকা গৃহ নির্মাণ করে দেওয়ার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের নেতৃত্বে একটি দল গ্রামে গ্রামে ঘুরে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার যাচাই-বাছাই করেছেন।
কেশবপুর ইউনিয়নের মমিনপুরের গ্রামের বাসিন্দা ঠিকাদার মো. গোলাম হোসেন সিকদার (৬৫) বলেন, একজন জেলা প্রশাসক বৃষ্টি ও কাদার মধ্যে পায়ে হেটে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের যাচাই-বাছাই করেছেন। এটা ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য সৌভাগ্য। এ কারণে কোনো তদবির ছাড়াই তাঁর এলাকার প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন ২৮ ব্যক্তি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের তালিকায় অন্তর্ভূক্ত হতে পারবেন।
মমিনপুর গ্রামের বিধবা মোসা. কুলসুম বেগম (৫৫) ও মমতাজ বেগম (৪৫)। তাঁদের কোনো জমি ও ঘর নাই। অভিন্নভাবে দুজনে বলেন,‘হুনছি য্যাগো (যাঁদের) জমি ও ঘর নাই, হ্যাগো (তাঁদের) বলে সরকার জমি ও ঘর কইরা দিবে। হেইয়ার লইগা জেলার বড় স্যারে (জেলা প্রশাসক) কাদার মধ্যে আইয়া আমাগো লগে কথা কইছে। আমাগো খোঁজ-খবর নিছে। এইবার মনে হয় আমরা ঘর পামু।’
এইচকেআর
