হিজলায় সংবাদ প্রকাশের জের সাংবাদিককে হুমকি, থানায় জিডি


সংবাদ প্রকাশের জের ধরে বরিশালের হিজলা উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদককে প্রকাশ্যে হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলার বড়জালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ঝন্টু বেপারীর বিরুদ্ধে থানায় সাধারণ ডায়েরী করেছেন সুমনুর রহমান সোহাগ নামের ওই সাংবাদিক নেতা। শুক্রবার রাতে তিনি হিজলা থানায় সাধারণ ডায়রী করেন।
সাধারণ ডায়েরীতে সোহাগ অভিযোগ করেছেন, ‘সালিশ মিমাংসার নামে এক গৃহবধূ ও তার কিশোরী কন্যাকে নির্যাতনের ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ হন ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারী। এজন্য গত ২১ জুলাই সকাল ১১টার দিকে উপজেলা সদর টেকের বাজারে সাইফুল ফকিরের বীজ ভান্ডার নামক দোকানের সামনে সোহাগকে প্রকাশে হুমকি দেন ইউপি সদস্য ঝন্টুসহ তার ১০-১২ জন লোক।
সাংবাদিক সোহাগ জানান, ‘তিনি যায়যায়দিন এবং দৈনিক দক্ষিণাঞ্চল পত্রিকার হিজলা উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করেন। গত ১৬ জুলাই বড়জালিয়া ইউনিয়নের খুন্না গোবিন্দপুর গ্রামে স্বামীর পরকীয়া ঠেকাতে থানায় অভিযোগ করেন কহিনুর বেগম নামের এক গৃহবধূ।
এই ঘটনায় স্বামীর পরকীয়া প্রেমিকার পক্ষ নিয়ে সালিশ-মিমাংসার আয়োজন করেন বড়জালিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ঝন্টু বেপারী। থানায় অভিযোগ করায় সালিশ-বৈঠকে বসে গৃহবধূ কহিনুর বেগমকে মারধর করে ঝন্টু বেপারীর লোকেরা। এতে বাধা দিতে গেলে কহিনুরের সপ্তম শ্রেণিতেপড়ুয়া কিশোরী কন্যা রুবিনা আক্তারকেও নির্যাতন করে তারা।
এই ঘটনায় গত ২১ জুলাই বিভিন্ন জাতীয় এবং আঞ্চলিক দৈনিক পত্রিকা ও নিউজ পোর্টালে ইউপি সদস্য ঝন্টু বেপারীকে ঝড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ইউপি সদস্য সাংবাদিকদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল এবং হিজলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুমনুর রহমান সোহাগকে প্রাণ নাশের হুমকি দেন বলে সাধারণ ডায়েরীতে অভিযোগ করা হয়েছে।
এদিকে, সাংবাদিক নেতাকে হুমকি দেয়ার ঘটনায় শুক্রবার সকালে হিজলা প্রেসক্লাবে এক প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন। সভার সিন্ধান্ত অনুযায়ী আইনী সহায়তা পেতে সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে বলে জানান হুমকির শিকার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সোহাগ।
কেআর
