‘মেগাপ্রকল্পের ঋণ পরিশোধ চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে’


২০টি মেগাপ্রকল্পের ঋণ পরিশোধে ২০২৪ সাল থেকে দুই বছর দেশকে সবচেয়ে বড় ধাক্কা সামলাতে হবে বলে মনে করেন অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, এ ঋণ পরিশোধের সময় এগিয়ে আসছে, যা অর্থনীতির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
এ চ্যালেঞ্জ সামাল দিতে এখনই আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে অর্থ সহায়তা নেওয়ার পরামর্শ তার।
লোডশেডিং দিয়ে বতর্মান জ্বালানি সংকটের খুব বেশি সমাধান হবে না বলেও মনে করেন এ অর্থনীতিবিদ।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) দেশের ২০টি বড় প্রকল্প নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে অনলাইন আলাপচারিতায় অংশ নেন বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তার মতে, মেগা বা বড় প্রকল্পে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে ২০২৪ থেকে ২০২৬ সালের মধ্যে অর্থনীতিতে বড় ধাক্কা আসছে। এ ঋণ পরিশোধের সময় এগিয়ে আসছে, যা অর্থনীতির জন্য চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) অনুপাতে বিদেশি দায়দেনা পরিশোধ করা হয় ১ দশমিক ১ শতাংশের মতো। ২০২৬ সাল নাগাদ তা দ্বিগুণ হতে পারে। এই হার ২ শতাংশের পৌঁছানোর আশঙ্কা রয়েছে।
তখন বাংলাদেশ সমস্যায় পড়বে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় বলেন, এটি আসলে নির্ভর করবে ওই সময়ে দেশের রিজার্ভ পরিস্থিতি কেমন থাকে, অর্থনীতি কতটা সুসংহত থাকে, তার ওপর।
বড় প্রকল্পের ক্ষেত্রে রাশিয়া, চীন ও জাপানকেই বেশি অর্থ পরিশোধ করতে হবে। তার মধ্যে চীনের ঋণ পরিশোধের সময়সীমা বেশ কম বলে জানান তিনি।
দেশের ২০টি বড় প্রকল্পে প্রায় ৫ লাখ ৫৬ হাজার ৯৫৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে। এর মধ্যে প্রায় ৬২ শতাংশ বিদেশি ঋণ। প্রকল্পগুলো ২০২৮ সালের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও চলতি দশকে সব কটি শেষ করা সম্ভব হবে না বলে মনে করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনা শুরুকে ভালো দিক হিসেবে অভিহিত করেছেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ২ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলার হোক আর সাড়ে চার বিলিয়ন বা ৪৫০ কোটি ডলার হোক—আইএমএফের কাছে অর্থ নেওয়ার প্রয়োজন আছে।
এএজে
