মেসি-রোনালদোর সাফল্যের রহস্য ‘সি-উইড’!


বয়স তো কম হলো না। এই বয়সের বহু আগেই যেখানে ফুটবলাররা বুটজোড়া তুলে রাখেন, সেখানে লিওনেল মেসি ও ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আপন মহিমায়। কখনো কি প্রশ্ন জেগেছে, আসলে কি খান তারা যার ফলে এই বয়সেও এভাবে দৌড়ে যাচ্ছেন?
স্প্যানিশ দুই সংবাদমাধ্যম মার্কা ও মুন্দো দেপোর্তিভো মেসি-রোনালদোর এমন ফিটনেসের পেছনে একটি বিশেষ খাবারের নাম জানিয়েছে, সি-উইড।
রোনালদোর সাফল্যের পেছনে জিমে ঘাম ঝরানো, খাবারদাবার আর ঘুমে কঠোর নিয়মকানুনের কথা অনেক শোনা যায়। মেসিও ফিট থাকার জন্য আরো বছর দশেক আগে বাদ দিয়েছেন পিৎজা-চকলেটজাতীয় সব খাবার। তবে তাদের কঠোর নিয়মকানুনে তৈরি, পুষ্টিগুণে ভরা খাদ্যতালিকায় সি-উইডের উপস্থিতিকে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম।
স্পিরুলিনায় সমৃদ্ধ সি-উইডে প্রোটিনের ভাগ ৭০ শতাংশ। এতে প্রচুর পরিমাণে আছে ভিটামিন এ, বি১, বি২, সি, ডি, ই ও কে। ক্লোরেলার পরিমাণও আছে অনেক, যাতে আছে ৬০ শতাংশ প্রোটিন। এই ক্লোরেলা বয়স বাড়ার হার কমানোসহ আরো অনেক কাজে আসে বলে জানা যায়।
স্পেনের ফুটবলে অনেক তারকার ব্যক্তিগত শেফ হিসেবে কাজ করায় অভিজ্ঞ আলবার্তো মাস্ত্রোমাত্তেও দিচ্ছেন সি-উইড খাওয়ার পরামর্শ। স্পিরুলিনা ও ক্লোরেলা নিয়ে তার মত, ‘দারুণ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ। কারণ, এটি খুব অল্প পরিমাণে খেলেও আপনি প্রচুর উদ্ভিজ্জ প্রোটিন পাবেন।’
তিনি আরো বলেন, ‘প্রাণিজ প্রোটিনের চেয়ে এই ধরনের প্রোটিন শরীরের সঙ্গে আরও ভালোভাবে যায়। আমি নিজের তৈরি প্রায় সব খাবারেই স্পিরুলিনা ও ক্লোরেলা ব্যবহার করতে পছন্দ করি।’
সি-উইড ব্যবহারের প্রভাবেই কি না, মাঠে এখনো বেশ দাপুটে মেসি ও রোনালদো। বয়স ৩৭ বছর হয়ে গেলেও গত মৌসুমে রোনালদো ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সর্বোচ্চ গোলদাতা ছিলেন। ৩৫ বছর বয়সী মেসি পিএসজিতে প্রথম মৌসুমে ধুঁকলেও ১১ গোল করার পাশাপাশি গোল করিয়েছেন ১৫টি!
বাংলাদেশেও কিন্তু এখন চাষ হচ্ছে সি-উইড। চাইলে খেয়ে দেখতে পারেন আপনিও!
এইচকেআর
