সাংবাদিক ফিরদাউস সোহাগের প্রচেষ্টায় নতুন জীবন পেলেন ১২ নাবিক

একজন সাংবাদিক শুধুমাত্র সংবাদের পেছনেই ছোটেন না, বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশেও দাঁড়ান। এমন আরও একটি উদাহরণ সৃষ্টি করেছেন সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশাল এবং বরিশাল টেলিভিশন মিডিয়া জার্নালিস্ট এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ফিরদাউস সোহাগ। তাঁর প্রচেষ্টায় ঘূর্ণিঝড়ের কবলে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যাওয়া পাথরবোঝাই লাইটার জাহাজের ১২ নাবিক নতুন জীবন ফিরে পেয়েছেন।
সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ফিরদাউস সোহাগের মাধ্যমে তথ্য পেয়েই বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার বঙ্গোপসাগর থেকে ওই ১২ নাবিককে অক্ষ্ত অবস্থায় উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার ভাসানচর সংলগ্ন বঙ্গোপসাগরে।
জানা গেছে, ‘গত ২৫ মে রাতে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভাঙা পাথর নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা শুরু লাইটার জাহাজ এমভি সানভ্যালি-৪। পথিমধ্যে উত্তাল ঢেউয়ের কবলে পড়ে বঙ্গোপসাগরে ডুবে যায় ওই জাহাজটি। পরে জাহাজটিতে আটকা পড়া নাবিকরা সাহায্যের আকুতি জানান। এমন খবর পেয়ে উদ্ধার অভিযানে নামে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর দুটি হেলিকপ্টার।
জানা গেছে, ‘জাহাজটি ডুবির খবর আসে বরিশালে কর্মরত সময় টেলিভিশনের বিশেষ প্রতিনিধি ও সাংবাদিক ইউনিয়ন বরিশাল এর সাধারণ সম্পাদক ফিরদাউস সোহাগ এর কাছে। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি নিয়ে তিনি তার ঢাকা অফিসে যোগাযোগ করেন এবং আটকা পড়া নাবিকদের উদ্ধারে সহযোগিতা চান। পরে সময় টেলিভিশনের ঢাকা অফিস থেকে দুর্ঘটনার বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করা হয় বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে।
এ খবর জানা মাত্রই বুধবার সকালে আটকা পরা নাবিকদের উদ্ধারে অভিযান শুরু করে বিমান বাহিনীর দুইটি হেলিকপ্টার। বুধবার সকাল থেকে বঙ্গোপসাগর এলাকায় টানা কয়েক ঘণ্টা অভিযানের পরে ডুবে যাওয়া জাহাজের নাবিকদের সন্ধান পান তাঁরা।
পরে জাহাজের ১২ নাবিককে সেখান থেকে উদ্ধার করে চট্টগ্রামে নিয়ে যান বিমান বাহিনীর সদস্যরা। সেখানে হাসপাতালে ভর্তি করে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থাও করেছেন তাঁরা।
এমবি
