বাংলাদেশে হতে পারে এশিয়া কাপ

শ্রীলংকায় চলমান অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের কারণে এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে সম্প্রতি নাটকীয় মোড় নিয়েছে। ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, শ্রীলংকার পরিস্থিতির আরো অবনতি হলে, এশিয়া কাপ নিয়ে কোন সুযোগ নিতে চায় না এসিসি। আগষ্টে এশিয়া কাপের আয়োজক হবার জন্য বাংলাদেশকে ব্যাকআপ হিসেবে রেখেছে এশিয়া ক্রিকেট কাউন্সিল (এসিসি)।
বাংলাদেশ এর আগে ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত টানা তিন আসর এশিয়া কাপের আয়োজন করেছিল। ২০১৪ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও সফলভাবে আয়োজন করেছিল লাল-সবুজের দেশটি। যে টুর্নামেন্টে ভারতকে হারিয়ে ট্রফি জিতেছিল শ্রীলঙ্কা।
সম্প্রতি, শ্রীলংকার রাষ্ট্রপতির বাসভবনে ঢুকে পড়েছে দ্বীপরাষ্ট্রের বিক্ষুদ্ধ জনগণ। প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন জ্বালিয়েও দেয় তারা। এরপরই পদত্যাগে সম্মত হয়েছেন তারা। গতকাল শেষ হওয়া অস্ট্রেলিয়া-শ্রীলংকা টেস্ট চলাকালীন, মাঠের কাছাকাছি চলে আসে বিক্ষোভকারীরা। দেশের এই চরম অব্যবস্থাপনার জন্য রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপাকসের প্রতি নিন্দা ও তার পদত্যাগের দাবিতে গল ফোর্টে ওঠেন বিক্ষোভকারীরা।
তাই বিদেশি খেলোয়াড়দের নিরাপত্তা এখন বড় ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের আরও একটি পত্রিকা দৈনিক জাগরণের বরাত দিয়ে একটি সূত্র বলেছে, শ্রীলংকার বর্তমান পরিবেশে ক্রিকেট খেলতে নিরাপদ বোধ করবেন না ক্রিকেটাররা। এখন এমন পরিস্থিতিতে এ বছরের এশিয়া কাপ শ্রীলংকায় আয়োজন সম্ভব নয়। তাই আগামী আসরে আয়োজক হবার ক্ষেত্রে এগিয়ে বাংলাদেশই। কারন এই টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে আগ্রহী নয় ভারত। আর পাকিস্তানে টুর্নামেন্ট হলে সেখানে খেলতে যাবে না ভারত।
আগামী এশিয়া কাপে বাংলাদেশ, শ্রীলংকা, ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান এবং অন্য একটি এশিয়ান দল অংশ নিবে। বাছাই পর্ব থেকে অন্য একটি এশিয়ান দলকে নেয়া হবে। বাছাই পর্বে খেলবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, সিঙ্গাপুর বা হংকং। এখনও আসরের সূচী চূড়ান্ত হয়নি। তবে প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত হয়েছে, ২৭ আগস্ট থেকে ১১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত হবে এশিয়া কাপ।
এএজে
