আমতলীতে অস্থির মসলার বাজার!


পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে অস্থির হয়ে উঠছে মসলার বাজার। বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলাসহ উপকূলের বিভিন্ন হাট-বাজারে গরম মসলা বাজার উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্বল্প ও নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে মসলার দাম।
সরেজমিনে আমতলী ও তালতলী শহরের একাধিক মুদি মনোহরি দোকানে গিয়ে দেখা গেছে, গত বছর ঈদুল আযহার পূর্বে এক কেজি রসুন ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকা এ বছর ১০০ থেকে ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ছিল ২৮ থেকে ৩৫ টাকা এখন ৪৫ থেকে ৫২ টাকা, আদা ছিল ১৫০ টাকা এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা, জিরা ছিল ৪০০ টাকা এখন ৪৫০ টাকা, গোলমরিচ ছিল ১৮০ টাকা বর্তমানে ২০০ টাকা। এছাড়া এলাচ, দারুচিনি, কিসমিসসহ অন্যান্য মসলার দামও গত বছরের তুলনায় প্রায় দেরগুন দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী পৌর শহরের খলিল মহাজন ও লাল মিয়ার দোকান ঘুরে দেখা গেছে, রসুন, পেঁয়াজসহ আমদানি করা মসলার বেঁধে দেয়া সরকারি দাম কোন ব্যবসায়ীরা মানছেন না। পাইকারী থেকে ছোট দোকানদাররা পর্যন্ত একে অপরকে দোষারোপ করেই নিজের দায় এড়িয়ে যাচ্ছেন।
আমতলী পৌর শহরের মসলা ব্যবসায়ী মো. নুরুল ইসলাম বলেন, ঢালাওভাবে বলা হচ্ছে, বাজারে দোকানদারেরা সব মসলার দাম বাড়িয়েছেন, এটা সঠিক নয়। কোরবানী ঈদকে সামনে রেখে মহাজনদের কাছ থেকে আমাদের বেশী দামে মসলা কিনতে হচ্ছে। তাই আমারাও ক্রেতাদের কাছে বেশী দামে মসলা বিক্রি করছি।
আমতলী পৌরশহর নতুন বাজারে একটি মুদি মনোহরদি দোকানে মসলা কিনতে আসা ক্রেতা মো. দেলোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, মসলার বাজারে কি সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। বিক্রেতারা প্রতিটি মসলা গত বছরের তুলনায় প্রায় দ্বিগুন দাম চাচ্ছে। আমাদের মত স্বল্প আয়ের মানুষ কিভাবে কোরবাণীর জন্য এত দামে মসলা কিনবো।
তালতলী বাজারে মসলা ক্রয় করতে আসা মুঃ আঃ মোতালিব ও মো. ইউসুফ মিয়া জানান, কোরবানীকে সামনে রেখে বাজারে মসলার যে দাম তা আমাদের মত সাধারণ মানুষের কেনা সাধ্যের বাইরে চলে গেছে। নিয়মিত বাজার মনিটরিং না থাকায় ব্যবসায়ীরা ইচ্ছা মাফিক দাম বাড়াচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষ তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়বে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম আবদুল্লা বিন রশিদ মুঠোফোনে বলেন, মসলার বাজার নিয়ন্ত্রনে আজকেই মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
