শেষ রাত থেকে বরিশালে বৃষ্টির সম্ভাবনা


পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপ এবং পরবর্তীতে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়ে উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিলে এর নাম হবে ‘ইয়াস’।
এদিকে দেশের কিছু কিছু অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে এবং ঢাকার আকাশেও দুপুর থেকে মেঘ রয়েছে। এগুলো নিম্নচাপের প্রভাব কি-না জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস বলেন, ‘বঙ্গোপসাগরে যে নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে, এগুলো তার প্রভাব না।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় যে তৈরি হতে যাচ্ছে, এর সাইড-ইফেক্ট আগামীকাল (সোমবার) থেকে কিছুটা পড়তে পারে। আজ শেষ রাত থেকে চট্টগ্রাম, বরিশাল এসব এলাকায় প্রভাব পড়া শুরু করতে পারে। বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।’
এদিকে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, এটি আজ (২৩ মে) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণদক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৬১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭১০ কিলোমিটার দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৬৫৫ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল।
নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের কাছে সাগর উত্তাল রয়েছে।
চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এমবি
