ঢাকা সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫

Motobad news

শালিস বৈঠকে দুই নারীসহ চারজনকে পিটিয়েছে ইউপি সদস্য

শালিস বৈঠকে দুই নারীসহ চারজনকে পিটিয়েছে ইউপি সদস্য
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঝালকাঠির নলছিটিতে শালিস বৈঠকে দুই নারীসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ইউপি সদস্যর  বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় উপজেলার মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সেলিম হাওলাদার ও তাঁর সহযোগিদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন নির্যাতিতরা। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারকে নানা ধরণের হুমকি দিচ্ছেন ইউপি সদস্য। তাঁর হাত থেকে জীবন বাঁচানো দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগী ওই পরিবার। শনিবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন খাওক্ষির গ্রামের নির্যাতিত গৃহবধূ জেসমিন বেগম। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেসমিন বেগমের স্বামী আব্দুল হক সিকদার।  লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ করা হয়, আব্দুস ছালাম সিকদারের সঙ্গে ৪৫ শতাংশ জমি নিয়ে তাঁর আপন ভাই মাহিন্দ্রা গাড়ি চালক আব্দুল হক সিকদার ও মো. জলিল সিকদারের সঙ্গে বিরোধ চলছিল। 

এ ঘটনায় মগড় ইউপি চেয়ারম্যান গত ৬ জুন তাদের শালিস মিমাংসার জন্য উভয় পক্ষকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকেন। দুই পক্ষ ইউনিয়ন পরিষদের আসলে শালিস বৈঠক শুরুর আগেই আব্দুস ছালামের পক্ষ হয়ে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার ও তাঁর লোকজন আব্দুল হক সিকদার ও তাঁর পরিবারের ওপর হামলা চালায়। এসময় লাঠি দিয়ে পিটিয়ে এবং পদদলিত করে দুই নারীসহ চারজনকে আহত করে। গুরুতর আহত জেসমিন বেগম ও শাহীনুর বেগমকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। 

এ ঘটনায় আহত হন জেসমিনের স্বামী আব্দুল হক সিকদার ও  ছেলে বরিশাল সরকারি পলিটেকনিকের ছাত্র তামিম সিকদার। ঘটনার সময় ৯৯৯ এ কল করলে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে। এঘটনায় জেমসিনের স্বামী আব্দুল হক সিকদার বাদী গত ৮ জুন ঝালকাঠির জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে মামলা দায়ের করেন। 

আদালত নলছিটি থানার ওসিকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার নির্দেশ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার। মামলা তুলে নিতে চাপও দেওয়া হচ্ছে বলে সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

তাদের হাত থেকে জীবন বাঁচাতে প্রশাসনের ঊর্ধতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন নির্যাতিতরা। অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য সেলিম হাওলাদার বলেন, দুই ভায়ের মধ্যে বিরোধকে কেন্দ্র করে নিজেরাই মারামারি করেছে। আমি তাদের উভয় পক্ষকে সরিয়ে দিয়েছি। 

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আতাউর রহমান বলেন, মারামারির বিষয়টি শুনে দ্রুততম সময়ের মধ্যেই পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় আদালতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।  
 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন