খুন করে স্কুলছাত্রর মরদেহ পুঁতে রাখে প্রেমিকার পরিবার


প্রেম নিয়ে বিরোধের জেরে ময়মনসিংহে খুন করে বাসার পেছনে স্কুলছাত্রের পুঁতে রাখে প্রেমিকার পরিবার। এ ঘটনায় প্রেমিকাসহ ছয়জনকে আটক করা হয়েছে। শাস্তির দাবিতে সহপাঠীরা বিক্ষোভ করেছে। এদিকে, ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছে নিহতের বাবা।
পুলিশ জানিয়েছে, এসএসসি পরীক্ষার্থী আকাশের লাশ উদ্ধারের আট ঘণ্টার মাথায় গ্রেফতার হলো তার কথিত প্রেমিকা জেসমিন, জেসমিনের বাবা ইউপি সদস্য জিয়াউর, ভাই নাজমুল ও চাচা জুলহাস। শনিবার (২২ মে) ভোরে মুক্তাগাছায় এক আত্মীয়ের বাসা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার ভুগলী এলাকায় নিজ বাসা থেকে গ্রেফতারে হন জেসমিনের মা ও চাচি। প্রেমের সম্পর্ক নিয়ে বিরোধের জেরে এই হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিক ধারনা পুলিশের।
ময়মনসিংহের অতিরিক্তি পুলিশ সুপার খন্দকার ফজলে রাব্বী, তদন্ত চলছে, অনুসন্ধানে যতটুকু জানাগেছে এটা প্রেম গঠিত ব্যাপার। তাছাড়া পারিবারিক কিছু বিরোধ ছিল যেগুলো প্রাথমিক তদন্ত জানা গেছে। পরবর্তী তদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ ঘটনায় ইউপি সদস্য জিয়াউর, তার স্ত্রী-ছেলে-মেয়ে-ভাইসহ ১৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন আকাশের বাবা।
নিহত কিশোর আকাশের বাবা আকরাম হোসেন বলেন, সুষ্ঠু বিচার চাই। এই আসামিগুলোর ফাঁসি চাই। বাংলাদেশে যেন আর কোনো মা-বাবার কোল খালি না হয়।
কিশোরের স্বজনরা বলছেন, আইনের ফাঁক গলে যাতে খুনিরা বের হয়ে যেতে না পারে, তাদের যেন সর্বোচ্চ শাস্তি দেয়া হয়।
এদিকে, হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নিহত আকাশের স্কুলের বর্তমান ও সাবেক সহপাঠীরা।
গত ১৯ মে রাতে জিয়াউরের মেয়ে জেসমিন ফোন করে ডেকে নেয়ার পর থেকে নিখোঁজ ছিল আকাশ। শুক্রবার রাতে জিয়াউরের বাড়ি থেকে মাটি খুঁড়ে আকাশের বস্তাবন্দি অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এইচকেআর
