বাউফলে টাকার বিনিময়ে বিএনপির নেতা বানানোর অডিও ভাইরাল


পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলায় টাকার বিনিময়ে বিএনপির উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে নেতা বানানোর অডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
গত বুধবার রাত থেকে এ নিয়ে বাউফল উপজেলার বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সমালোচনা চলছে।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির একাধিক সদস্য এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভাইরাল হওয়া অডিওর কথোপকথোন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. শাহজাদা মিয়া ও দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে ফিরোজের।
ওই অডিওতে শোনা যাচ্ছে,আহ্বায়ক শাহজাদা মিয়া দাসপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির প্রস্তাবিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের সঙ্গে কমিটি নিয়ে আলোচনা করেন। একপর্যায়ে শাহজাদা মিয়া বলেন, তোমার পাশে আছে কেউ? অপর প্রাপ্ত থেকে সাইফুল উত্তরে বলেন, না না, আমি বাসায় একলা। শাহজাদা মিয়া বলেন,তুমি যেভাবেই হোক আমাকে ৫০ হাজার টাকা দেবা ১২ টার মধ্যে, আজকে। তোমাগো কমিটি পাশ করতে যাইয়া অনেক কিছু হইছে। ওঠা পাশ করাইতেছি।আমার যেখানে যাওয়া লাগবে যামু,যেভাবেই হোক। আমাকে ১২ টার মধ্যে ৫০ হাজার টাকা আমার মোবাইলে পাঠাইয়া দাও খরচসহ। তোমাগো কমিটি পাশ করানোর লইগা ঢাকা যামু। এছাড়াও অন্য ইউনিয়নের কমিটি নিয়েও তাঁরা কথা বলেন।
ওই কথোপকথোনের অডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।
উপজেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি, উপজেলা বিএনপির যুব বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মো. জসিম উদ্দিন বলেন,যাঁরা ঢাকায় থাকেন তাঁদেরকে ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিটিতে না রাখার কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশ রয়েছে। অথচ বাউফল উপজেলার অধিকাংশ ইউনিয়নে কমিটি গঠনের ক্ষেত্রে সেই নির্দেশ মানা হয়নি। কমিটি গঠনের দায়িত্বে থাকা নেতারা টাকার বিনিময়ে বিতর্কিত ও ঢাকায় ব্যবসা করেন এমন ব্যক্তিদের অধিকাংশ ইউনিয়নের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বানাচ্ছেন। যা এখন সবাই জানে।
অডিওর বিষয়ে সাইফুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি ধরেননি। ক্ষুদেবার্তা দিলেও কোনো সাড়া দেননি।
উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মো. শাহজাদা মিয়া বলেন,‘তাঁকে (সাইফুল ইসলাম) আমি চিনতাম না। একদিন চিনছি, ওর বাড়ি দাসপাড়া। থাকে ঢাকায়। অডিওর কণ্ঠ আমার না। এসব মিথ্যা, বানোয়াট।’
এ বিষয়ে পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সদস্য সচিব স্নেহাংশু সরকার মুঠোফোনে বলেন,‘বিষয়টি আমি শুনেছি। তদন্ত করা হবে। তদন্তে সত্যতা মিললে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এইচকেআর
