চুল কাটতে গিয়ে মাথা কেটে ফেললেন মাদ্রাসা শিক্ষক


কক্সবাজারের টেকনাফে এক মাদ্রাসার শিক্ষকের ‘ছুরিকাঘাতে’ শিশু শ্রেণির এক ছাত্র গুরুতর আহত হয়েছে। ভুক্তভোগী সদর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের উত্তর লম্বরী হযরত ফাতেমা (রাঃ) আদর্শ বালিকা ও নুরানী মাদরাসার শিশু শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনায় এলাকায় অভিভাবক ও স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আহত ছাত্রের পিতা জানান, সপ্তাহখানিক আগে ছেলের চুল কাটিয়ে দিয়েছিলাম। এরপরও চুল কাটার প্রয়োজন হলে আমাকে সতর্ক করলে সেলুন থেকে কেটে দিতাম। আমার ধারণা হচ্ছে, ওই শিক্ষক আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে চুল কাটার কৌশলে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি আত্মীয় ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গের সাথে পরামর্শ করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। আমি ছেলের বাবা। চুল কাটতে হলে আমাকে বলতে পারতো। একজন শিক্ষকের এমন সিদ্ধান্ত পরিকল্পিত। তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়দের বিষয়টি জানিয়ে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। তার আঘাতের জায়গায় সেলাই করতে হয়েছে। আমি তার শাস্তি কামনা করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক অভিভাবক জানান, ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা সৌদিতে থাকে। ফলে তার অর্ধশিক্ষিত ও স্বশিক্ষিত ছেলেদের দিয়ে মাদরাসা পরিচালনা করছে। আগেও শিক্ষকের বেত্রাঘাতে শিক্ষার্থী আহত হওয়ার অহরহ অভিযোগ রয়েছে। ক্ষমা চেয়ে তারা পার পেয়ে যায়।
অভিযুক্ত শিক্ষক মোহাম্মদ ইসলামের জানান, আমি ছুরি দিয়ে ছাত্রকে আঘাত করিনি। ব্লেড দিয়ে চুল কাটতে গিয়ে এটা হয়েছে। এটা আমার ভুল হয়েছে। আমি ক্ষমা চাই।
এ ব্যাপারে হযরত ফাতেমা (রাঃ) আদর্শ বালিকা ও নুরানী মাদরাসার শিক্ষক ও পরিচালক ওমর ফারুক জানান, ঘটনার সময় আমি কক্সবাজার ছিলাম। তবে এটা ছুরির আঘাত নয়। মাদরাসার শিক্ষক ছেলের চুল লম্বা হওয়ার কারণে ব্লেড দিয়ে চুল কাটতে গিয়ে ছাত্রের মাথার কেটে যায়, সাথে সাথে ছাত্রকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এমইউআর
