বউয়ের খোঁচা দেওয়া স্ট্যাটাস, দেখেননি মুশফিক

খোঁচাটা কাকে দিয়েছেন, মুশফিকুর রহিমের স্ত্রী সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিবি), না কি মুশফিকের সমালোচকদের? চট্টগ্রাম টেস্টে আজ মুশফিকের শতকের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত একটা ছবি দিয়েছেন স্বামীর উদ্যাপনের। সেই ছবিটা দারুণ। কিন্তু ছবির সঙ্গে যে কথাগুলো লিখেছেন, সেখানে যে একটা ক্ষোভ মেশানো আছে, তা বোঝা কঠিন কিছু না। চট্টগ্রাম টেস্টের মুশফিকময় দিনে হঠাৎ করেই তাই আলোচনা শুরু হয় সেই স্ট্যাটাস নিয়ে। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক অবশ্য দাবি করেছেন, স্ত্রীর স্ট্যাটাস দেখেননি তিনি। দেখলে বলতে পারতেন, কী বোঝাতে চেয়েছেন তাঁর স্ত্রী।
টেস্ট ক্রিকেটে ১৮ ইনিংস পরে আজ শতক পেয়েছেন মুশফিক। এর আগেই অবশ্য প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে টেস্টে ৫০০০ রানের মাইলফলক ছুঁয়েছেন। সমালোচনার জবাব দেওয়ার মোক্ষম উপলক্ষ তো বটেই। তবে জবাবটা মুশফিক নয়, দিয়েছেন তাঁর স্ত্রী জান্নাতুল কেফায়েত। ইনস্টাগ্রামে মুশফিকের শতক উদ্যাপনের ছবি দিয়ে লিখেছেন, ‘আমরা হাসি মুখেই বিদায় নেব ইনশা আল্লাহ! তবে আপনাদের রিপ্লেসমেন্ট (বদলি) আছে তো??? সেদিকেও একটু নজর দিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের উন্নয়ন হতো!
কিছুদিন আগেই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করতে পরামর্শ দেন। এদিকে মুশফিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট ছাড়তে পারেন বলেও একটা গুঞ্জন আছে। সেটা নিজের ইচ্ছায় কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন আছে যদিও। কে জানে হয়তো এসব কিছু ইঙ্গিত করেই কথাগুলো বলেছেন মুশফিকের স্ত্রী।
স্বাভাবিকভাবেই সেই স্ট্যাটাস নিয়ে আলোচনার রেশ ছিল মুশফিকের সংবাদ সম্মেলনে। দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিকের কাছে তাঁর স্ত্রীর মন্তব্যের বিষয়ে চাওয়া হয়। প্রসঙ্গটি উঠতেই মুখে ছোট্ট একটি হাসি টেনে মুশফিক বললেন, ‘প্রথমত আমি দেখিনি সে কী লিখেছে। দেখলে বলতে পারব কী লিখেছে, কেন লিখেছে।
তবে নিজের ফর্ম ঘিরে সাম্প্রতিক সমালোচনার জবাব একটু দিয়েছেন মুশফিকও, ‘এটা কোনো ক্রিকেটারের জন্যই কাম্য না। একমাত্র বাংলাদেশেই একদিন সেঞ্চুরি করলে ব্র্যাডম্যানের মতো বড় খেলোয়াড় হয়ে যায়। এরপর দুই দিন রান না করলে আবার দেখা যায় মনে হয় গর্তে ঢুকে যাই। এটা শুধু একমাত্র আমাদের বাংলাদেশেই হয়।
পরের প্রজন্মের ক্রিকেটারদের জন্য হলেও সমালোচকদের আরও পরিণত হতে বলেছেন মুশফিক। এ ব্যাপারে মুশফিকের বার্তা, ‘যারা বলে থাকেন, তাঁরা যদি আরেকটু পরিণত হতে পারেন তাহলে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য আরও ভালো। আমরা তো সিনিয়র প্লেয়ার। আমরা হয়তো বেশি দিন খেলবও না। এটা ক্রিকেট সংস্কৃতির ব্যাপার। জুনিয়র যারা আছে তাদের যদি সমর্থন দেওয়া হয়, তাহলে তাঁরা অনুপ্রাণিত হবে। কারণ মাঠে আমাদের এত কিছু করতে হয়, এরপর যদি মাঠের বাইরে কি হচ্ছে সেটা ভাবতে যাই তাহলে মাঠের কাজটা কঠিন হয়ে যায়।
মুশফিকের টেস্ট সেঞ্চুরির দিকে প্রসঙ্গক্রমে এসেছে তাঁর টি-টোয়েন্টি ভবিষ্যতের প্রশ্নও। আসলেই কি টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেবেন মুশফিক? এমন প্রশ্নে তাঁর উত্তর, ‘আমার এমন কোনো ভাবনা নেই। আমার ইচ্ছা, বাংলাদেশের পক্ষে আমার যতটুকু সুযোগ আসবে, আমাকে যেভাবে চাইবে, আমি চেষ্টা করব পারফর্ম করে যেতে।
এএজে
