অস্ট্রেলিয়া নারী দল থেকে ইংল্যান্ড পুরুষ দলের কোচ


মেয়েদের ক্রিকেটে সব জিতেছেন। এ বছরই তার অধীনে অস্ট্রেলিয়া নারী দল জিতেছে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে দুটো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ট্রফি এসেছে ৪৮ বছর বয়সী কোচের হাত ধরে। সাফল্য মোড়ানো ক্যারিয়ারে এবার বড় ধাপ ফেললেন ম্যাথু মট। অস্ট্রেলিয়া নারী দলের এই কোচ এখন ইংল্যান্ড পুরুষ দলের কোচ। ইংলিশদের সাদা বলের ক্রিকেটের দায়িত্ব সামলাবেন এই অস্ট্রেলিয়ান।
ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে চলছে পালাবদল। লাল বল ও সাদা বলের ক্রিকেটে কোচিং স্টাফ আলাদা করে দিয়েছে ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। টেস্ট ক্রিকেটের জন্য তারা প্রধান কোচ হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে ব্রেন্ডন ম্যাককালামকে। খুঁজছিল ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি দলের প্রধান কোচ। সেটিও চূড়ান্ত হয়ে গেছে। বুধবার ইসিবি নিশ্চিত করেছে, মটের হাতে উঠছে ইয়োন মরগানদের দায়িত্ব।
৪৮ বছর বয়সী এই কোচ অস্ট্রেলিয়া নারী দলে কাজ করেছেন সাত বছর। ২০১৫ সালে দায়িত্ব নিয়ে জিতেছেন টানা দুটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আছে টানা চারটি অ্যাশেজ জেতার সুখস্মৃতি। তাছাড়া মটের সময়েই অস্ট্রেলিয়া নারী দল ওয়ানডেতে জিতেছে রেকর্ড ২৬ ম্যাচ। আর এই প্রাপ্তিগুলোর সঙ্গে যোগ হয়েছে এবারের ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা।
আগামী মাসে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ইংল্যান্ড অধ্যায় শুরু হতে যাচ্ছে মটের। ম্যাককালামের মতো তার চুক্তিও চার বছরের। শুধু মেয়েদের ক্রিকেট নয়, ছেলেদের ক্রিকেটেও আছে তার সাফল্য। অস্ট্রেলিয়ান মেয়েদের দায়িত্ব নেওয়ার আগে ছিলেন নিউ সাউথ ওয়েলসের কোচ। ২০০৯ সালে দলটি চ্যাম্পিয়নস লিগ টি-টোয়েন্টি জিতেছিল মটের কোচিংয়ে।
ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ হতে পেরে আনন্দিত এই অস্ট্রেলিয়ান, ‘আমি আনন্দের সঙ্গে ইংল্যান্ডের সাদা বলের দায়িত্ব পাওয়ার সুযোগটা গ্রহণ করেছি। যদিও আমি অস্ট্রেলিয়ান, তবে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক আছে। সেখানে আমার ঘনিষ্ঠ অনেক বন্ধু আছে। খেলোয়াড় ও কোচ হিসেবে দারুণ কিছু সময় কাটিয়েছি আমি স্কটল্যান্ড, ওয়েলস ও ইংল্যান্ডে।
এএজে
