প্রবাসী যুবকের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রবাসী নারীর অনশন


ইমো গ্রুপের মাধ্যমে কুয়েত প্রবাসী হাচানের সাথে জর্ডান প্রবাসী ছনিয়ার প্রথমে পরিচয় হয়। এরই সূত্রধরে তাদের মধ্যে প্রেম শুরু হলে প্রায় ৩ বছর ধরে তাদের মধ্যে প্রেমালাপ চলে । কথাও হয় দুজনের মধ্যে ঘর বাধার। এর পর কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে প্রবাসী নারী ছনিয়ার মোবাইল নম্বরটি ব্লাক লিস্টে রেখে দেন হাচান।
এমনি অভিযোগ করেন ওই প্রবাসী নারী ছনিয়া। সেখানে ছনিয়ার মামাতো ভাই কুয়েত প্রবাসী সুমনের মাধ্যমে আবারো যোগাযোগ করে হাচানের কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা নিয়ে প্রবাস থেকে বাড়ি ফিরে কিছু দিনপরে বিয়ের দাবিতে গত শুক্রবার হাচানের বাড়িতে অনশন শুরু করেন।
ঘটনাটি বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার। রোববার সকাল ১০ টারদিকে প্রবাসী হাচানের বাড়িতে গেলে ওই প্রবাসী নারী ছনিয়াকে দেখাযায়। প্রবাসী হাসান বরগুনা জেলার কালমেঘা ইউনিয়নের আমড়াতলা এলাকার আলতাফ চৌকিদারের ছেলে এবং প্রবাসী ছনিয়া পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাটের বাদুরা এলাকার আব্দুস সামাদ জোমাদ্দারের মেয়ে।এর আগেও ছনিয়ার একটি বিয়ে হয়েছিল।
প্রবাসী নারী ছনিয়া জানান, ইমো গ্রুপের মাধ্যমে হাচানের সাথে প্রথমে তার পরিচয় হয় এ থেকে প্রেমের সম্পর্কে রূপনেয়। এই প্রেমের সূত্রধরে হাচান তাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বাড়ি তৈরি করার কথা বলে প্রায় ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে তিনি বিয়ের কথা বললে হাচান তাকে এড়িয়ে যেতে শুরু করে।কৌশলে হাচানের কাছ থেকে বাড়ির ঠিকানা নিয়ে বিয়ের দাবিতে হাচানের বাড়িতেই হাজির হন। তিনি আরো জানান, হাচান যদি তাকে বিয়ে না করেন তবে তিনি আত্নহত্যার হুমকি দনে।
এ বিষয়ে হাচানের সাথে মুঠেফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করা হলে তিনি ইমোগ্রুপের মাধ্যমে পরিচয়ের কথা স্বীকার করে বলেন, ছনিয়ার সাথে যে গ্রুপের মধ্যমে পরিচয় হয়েছে সেখানে আরো প্রবাসী মেয়ে এবং ছেলেরা আছে সেখানে সবাই সবার সাথে কথা বলে। কথা বললেই যে বিয়ে করতে হবে এমন কোন কথা নেই। আর তার সাথে আমার কোন বিয়ের কথা হয়নি। সে আমার সম্মান নস্ট করার জন্যই এগুলো করছে। আর কথা গ্রুপের সবার সাথেই বলেছি তাহলে গ্রুপের সকল মেয়েকেইকি বিয়ে করতে হবে? তার কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া হয়নি এটা আমাকে আটকানোর জন্য মিথ্যা অভিযোগ।
এ বিষয়ে হাচানের মা ফাতিমা বেগম জানান, ছনিয়া নামের এক মেয়ে তার বাড়িতে এসছেন। সেই মেয়ের নাকি আমার ছেলের সাথে বিয়ের কথা হয়েছে। আমি থানা পুলিশকে অবহিত করে মেয়ের মাধ্যমে তার বাবা-মাকে ডাকতে বলেছি। তারা আসলে একটা সমাধানে যবো। কালমেঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম নাসির জানান, ব্যস্ততার কারণে হাসানের বাড়িতে যেতে পারিনি তবে স্থানীয় ইউপি সদস্যকে দিয়ে খোঁজ খবর রাখছি।পারিবারিক ভাবে বিষয়টি নিষ্পত্তি না করতে পারলে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এইচকেআর
