মেজর জিয়াসহ ৫ জনকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ


জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) আইন বিভাগের ছাত্র ব্লগার নাজিমুদ্দিন সামাদ হত্যা মামলায় আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ ৫ জনকে হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১০ মে) ঢাকার সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এই আদেশ দেন।
এর আগে গত ৩০ মার্চ আদালত এই ৫ জনের সম্পত্তি ক্রোকের এই আদেশ। ক্রোক তামিলের বিষয়ে মঙ্গলবার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। ক্রোক পরোয়ানা তামিলের বিষয়ে প্রতিবেদন দাখিলের পর তাদের হাজিরে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দিলেন আদালত।
সংশ্লিষ্ট আদালতের সহকারি পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) গোলাম ছারোয়ার খান জাকির এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ১৫ জুনের মধ্যে দুটি জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তার কপি আদালতে দাখিল করতে হবে।
পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির আদেশ হওয়া অপর চার আসামি হলেন- আকরাম হোসেন, মো. ওয়ালিউল্লাহ ওরফে ওলি ওরফে তাহেব ওরফে তাহসিন, সাব্বিরুল হক চৌধুরী ওরফে আকাশ ওরফে কনিক ও মাওলানা জুনেদ আহাম্মেদ ওরফে সাব্বির ওরফে জুনায়েদ ওরফে তাহের।
মামলার অপর চার আসামি রশিদুন নবী ভূইয়া ওরফে টিপু ওরফে রাসেল ওরফে রফিক ওরফে রায়হান, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন, মো. আরাফাত রহমান ও মো. শেখ আব্দুল্লাহ কারাগারে রয়েছেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে গত ২০ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। তবে আসামিরা গ্রেপ্তার বা আত্মসমর্পণ না করায় আদালত তাদের সম্পত্তি ক্রোকের এই আদেশ দেন।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল রাতে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস শেষে পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়ায় মেসে ফেরার পথে লক্ষ্মীবাজারের একরামপুর মোড়ে জঙ্গিরা কুপিয়ে এবং গুলি করে হত্যা করেন ব্লগার নাজিমুদ্দিনকে। এ ঘটনায় পরদিন সূত্রাপুর থানার এসআই মো. নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক জিয়াসহ ৯ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।
এইচকেআর
