ধনুক সমস্যায় অসীম

রিকার্ভ পুরুষে রোমান সানা যেমন দেশসেরা আরচ্যার, কম্পাউন্ড পুরুষে সেই নির্ভরতার নাম অসীম কুমার। বাংলাদেশ গেমসে কম্পাউন্ড র্যাকিং রাউন্ডে ৭০৪ স্কোর করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। বিশ্ব রেকর্ড থেকে মাত্র ১৪ স্কোর কম করেছিলেন।
গত বছর বিশ্ব রেকর্ডের কাছাকাছি অবস্থান করা অসীম কুমার এই বছর একেবারে ভিন্ন পরিস্থিতিতে। চলতি বছর বাংলাদেশ আরচ্যারি তুরস্ক ও থাইল্যান্ডে দু’টি টুর্নামেন্ট খেলেছে। দু’টির একটিতেও দলে জায়গা করে নিতে পারেননি। ৪ মে ইরাকে আরেকটি মহাদেশীয় টুর্নামেন্টে যাওয়ার কথা। সেই টুর্নামেন্টেও নেই অসীম।
এক সময় কম্পাউন্ড মানেই ছিল অসীম কুমার। সেই অসীম তার অনুপস্থিতির কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘আসলে এই বছরের শুরুতে আমার ধনুক পরিবর্তন হয়েছে। নতুন ধনুকে আমি স্বাচ্ছন্দ্য মতো স্বাভাবিক খেলতে পারিনি। প্রতি টুর্নামেন্টের আগে আমাদের ট্রায়াল হয়। সেই ট্রায়ালে যারা ভালো করে তারাই টুর্নামেন্টের জন্য বিবেচিত হয়। নতুন ধনুকে ট্রায়ালে আমি পিছিয়ে ছিলাম’।
অসীম জাতীয় চ্যাম্পিয়নশীপ খেলতেন তীরন্দাজ ক্লাব থেকে। সেই ক্লাবের ধনুকই ব্যবহার করতেন। ক্লাব বদল করে যোগ দিয়েছেন বাংলাদেশ পুলিশে। যে সংস্থার হয়ে খেলেন আরচ্যাররা সেই সংস্থাই ধনুক দিয়ে থাকে। পুলিশের নতুন ধনুকে মানিয়ে উঠতে পারছিলেন না অসীম। ফলে এবারের টুর্নামেন্টের বাছাইগুলোতে ভালো কিছু করতে পারেননি।
পুলিশের ধনুকে একেবারে মানিয়ে নিতে কষ্ট হওয়ায় আবার পুরনো ধনুকে ফিরছেন অসীম, ‘কোচ মার্টিন আমার অবস্থা দেখছেন। তাই তিনি পুরনো ধনুক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন। আমার আগের ক্লাব তীরন্দাজও এক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। তারা আবার ধনুক দেয়ায় নতুন করে আগের ফর্মে ফেরার লড়াইয়ে রয়েছি’।
ইরাকে চ্যাম্পিয়নশীপের পর আরো কয়েকটি টুর্নামেন্ট রয়েছে। ইসলামিক সলিডারিটি, এশিয়ান গেমসের মতো বড় বড় আসর রয়েছে এই বছরে। প্রথম চার মাসে নতুনদের চেয়ে পিছিয়ে পড়ায় খানিকটা আত্মবিশ্বাস কমে গিয়েছে অসীমের, ‘নতুনরা অনেকেই ভালো করছে। তারা স্কোর গড়েই আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে খেলছে। আমি চেষ্টা করব নিজেকে ফিরে পেয়ে এই বছর একটি বড় টুর্নামেন্ট খেলার। যদি সেটা না হয় তাহলে অনুশীলন করেই কাটাব এই বছরটা’।
এসএম
