ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

করোনার ভুয়া রিপোর্ট: সাবরিনার মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

করোনা ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষা নিয়ে প্রতারণার মামলায় জেকেজির চেয়ারম্যান ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও প্রতিষ্ঠানটির সিইও আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৯ জনের মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।  

বুধবার (২০ এপ্রিল) সর্বশেষ সাক্ষ্য দেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া।

মামলায় মোট ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে৷ এরপর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটতোফাজ্জল হোসেন আগামী ১১ মে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আসামিদের আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য দিন ধার্য করেছেন।

এর আগে, সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক রবিউল ইসলামকে এদিন জেরা শেষ করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। সিএমএম আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান এ তথ্য জানান।

সাবরিনা-আরিফুল ছাড়াও এই মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আবু সাঈদ চৌধুরী, হুমায়ূন কবির হিমু, তানজিলা পাটোয়ারী, বিপ্লব দাস, শফিকুল ইসলাম রোমিও ও জেবুন্নেসা।

২০২০ সালের ৫ আগস্ট তাদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক লিয়াকত আলী। এরপর একই বছর ২০ আগস্ট একই আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন।

করোনার ভুয়া রিপোর্ট প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথ কেয়ারের কর্ণধার আরিফুল চৌধুরীর স্ত্রী ডা. সাবরিনা চৌধুরী জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের একজন চিকিৎসক। মামলার পর ওই প্রতিষ্ঠান থেকে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। জেকেজির চেয়ারম্যানের দায়িত্বে সাবরিনা আছেন বলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জানায়।

গত বছর ১২ জুলাই সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেকেজির প্রতারণা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, ডিসিসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি সদুত্তর দিতে না পারায় তাকে তেজগাঁও থানায় আগেই আরিফুলের বিরুদ্ধে হওয়া মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

২০২০ সালের ২৩ জুন করোনার ভুয়া সনদ দেওয়া, জালিয়াতি ও প্রতারণার অভিযোগে আরিফুলসহ ছয়জনকে গ্রেফতার করে তেজগাঁও থানা পুলিশ। গ্রেফতারের পর থানা হাজতে থাকা অবস্থায় আরিফুলের ক্যাডার বাহিনী ভাঙচুর ও হামলা করে থানায়। মারধর করে পুলিশকে।

জানা যায়, জেকেজির কর্ণধার স্বামী-স্ত্রী মিলে করোনা টেস্টের ভুয়া সনদ বিক্রি করেছেন। প্রতিটি টেস্টের জন্য জনপ্রতি নিয়েছেন সর্বনিম্ন পাঁচ হাজার টাকা। আর বিদেশি নাগরিকদের কাছ থেকে জনপ্রতি তারা নিতেন ১শ ডলার।


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন