আরসা নেতা ছিদ্দিক অস্ত্রসহ আটক


মিয়ানমারের বিতর্কিত সশস্ত্র গ্রুপ আরসার (আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি) নেতা জুবায়ের গ্রুপের প্রধান আবু সিদ্দিককে আটক করেছে ১৪ এপিবিএনের সদস্যরা। এ সময় তার কাছ থেকে আমর্ড পুলিশের পোশাক, সেনাবাহিনীর বুট ও অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
সোমবার (৪ এপ্রিল) বালুখালী বালুর মাঠ ক্যাম্প থেকে তাকে আটক করা হয়। আটক আরসা নেতা বালুখালী ৪ নং ক্যাম্পের বশীর আহমদের পুত্র।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ১৪ এপিবিএনের অধিনায়ক পুলিশ সুপার মো. নাইমুল হক।
তিনি জানান, আমর্ড পুলিশের পোশাক পরে রাতে আরসার সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতেন আবু ছিদ্দিক। পুলিশের পোশাক পরায় তাকে কেউ চিনতে পারত না। তাই সহজে তার অপকর্ম চালিয়ে যেতেন বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
তিনি আরও জানান, সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে গিয়ে তিনি পুলিশের হাতে আটক হন। এ সময় তার কাছ থেকে দেশীয় তৈরি এলজি, এপিবিএনের ইউনিফর্ম ও সেনাবাহিনীর জুতা উদ্ধার করা হয়।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর হারাকা আল-ইয়াকিন নামে যাত্রা শুরু করে বিদ্রোহী গ্রুপটি। পরে তারা আরসা নামে কাজ শুরু করে। সশস্ত্র এই গ্রুপটি রোহিঙ্গাদের মিয়ানমার সরকারের নিপীড়ন ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে কাজ করে। অনেকের মতে, মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে আরসার যোগাযোগ রয়েছে।
আরসা নেতা আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনজুনি এলিয়াস হাফিজ তোহা পাকিস্তানে জন্মগ্রহণ করেন। আতাউল্লাহর বাব-মা ১৯৬০ সালে মিয়ানমারের রাখাইন থেকে করাচি চলে যান।
সূত্রে জানা যায়, আতাউল্লাহ তোহার অনেক জঙ্গিগোষ্ঠীর সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে। আইএসআই, আরাকান হরকাতুল জিহাদ আল ইসলামী এবং লস্কর-ই তৈয়বা তার কাজে সহযোগিতা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। তাদের কাছ থেকে আতাউল্লাহ তোহা শুধু অস্ত্রের জোগানই পাননি, একই সঙ্গে অর্থনৈতিক সহযোগিতাও নিয়েছেন।
এসএম
