তিন মাসের আয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের পেছনে ফেললেন আদানি

বিশ্বের শীর্ষ দশ ধনীর তালিকায় উঠে এসেছেন ভারতের আদানি গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান গৌতম আদানি। তিনি ঢুকে গেছেন ১০ হাজার কোটি ডলারের মালিকদের (সেন্টিবিলিয়নিয়ার) অভিজাত ক্লাবে। তবে গৌতম চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে যত আয় করেছেন, ততটা আয় ইলন মাস্ক, জেফ বেজোস, বিল গেটসরাও করতে পারেননি।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ার ইনডেক্স অনুযায়ী, গৌতম আদানি শীর্ষ ১০ ধনীর তালিকায় উঠে আসায় এক ধাপ পিছিয়ে ১১তম স্থানে চলে গেছেন আরেক ভারতীয় ধনকুবের মুকেশ আম্বানি। তবে এখনও এই দুই ভারতীয় এশিয়ার শীর্ষ ধনী ব্যক্তি।
ব্লুমবার্গের হিসাব বলছে, চলতি বছরের প্রথম তিন মাসে আদানির সম্পত্তি বেড়েছে ২ হাজার ১১০ কোটি ডলার। বিপরীতে এ সময়ে মুকেশ আম্বানির সম্পত্তি বেড়েছে ৮২৪ কোটি ডলার। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি ইলন মাস্ক চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ১১৪ কোটি ডলার আয় করেছেন। দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি জেফ বেজোস আয় তো করতে পারেননি উল্টো ৪৩০ কোটি ডলারের সম্পত্তি খুইয়েছেন। বেজোসের চেয়ে বেশি চলতি বছরের প্রথম ৩ মাসে ৪৪৮ কোটি ডলার হারিয়েছেন মাইক্রোসফটের বিল গেটস। আয়ের দিক থেকে আদানিকে টক্কর দিয়েছেন শুধু ওয়ারেন বাফেট। একই সময়ে তিনি ১ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার আয় করেছেন। তবে সবার আয়কে টক্কর দিয়ে শীর্ষে আদানির আয়।
১০ হাজার কোটি ডলার কিংবা তার বেশি সম্পত্তির মালিক এখন বিশ্বে ১০ জন। এর মধ্যে আটজনই যুক্তরাষ্ট্রের। শীর্ষে টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক। এ তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে দুজন। গৌতম আদানি ও ফ্রান্সের বার্নার্ড আর্নল্ড। মাস্ক ও বেজোসের পর ১৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলারের সম্পত্তি নিয়ে আর্নল্ড তৃতীয়। এদিকে তালিকায় দশম স্থানে থাকা গৌতম আদানির সম্পত্তি কাঁটায় কাঁটায় ১০ হাজার কোটি ডলার। মুকেশ আম্বানির মোট সম্পত্তি ৯ হাজার ৯০০ কোটি ডলার।
প্রসঙ্গত, গৌতম আদানির রয়েছে একাধিক বন্দর, মহাকাশ প্রযুক্তি, তাপশক্তি ও কয়লার ব্যবসা।
এমইউআর
