রমজানের শুরুতেই নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি, হতাশ ক্রেতারা


রমজানের শুরুতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রভাব পড়েছে উপকুলীয় জেলা ঝালকাঠিতে। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় সব পণ্যের মূল্য বৃদ্ধিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। গত দুই দিনের ব্যবধানে কাঁচামরিচ, শষা, বেগুন, লেবু, টমেটো, গাজর, করল্লা, মুলা, ঢেঁড়স ও পেঁপেঁসহ সব নিত্যপণ্য প্রায় দ্বিগুন দামে বিক্রি হচ্ছে। শনিবার দুপুরে ঝালকাঠি শহরের প্রধান বাজারে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ঝালকাঠি জেলায় সব ধরণের সবজির উৎপাদন হয়। কিছু কিছু দেশের উত্তাঞ্চল থেকে আসে। ঢাকায় বাজার দর বেড়ে গেলে তার প্রভাব পড়ে জেলা শহরগুলোতেও। ঝালকাঠিতে গত দুই দিন আগে শষা ছিল ৪০ টাকা কেজি, এখন তা ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। একই অবস্থা বেগুনে। শুধু শষা ও বেগুনই নয়, নিত্যপ্রয়োজনীয় সব জিনিসের দাম বাড়িয়েছে বিক্রেতারা। ব্রয়লার মুরগি ছিল ১৪০ টাকা কেজি, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। লেয়ার বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকায়, যা আগে ছিল ২৪০ টাকা কেজি। ফলের দামও বেড়েছে কেজিপ্রতি ১০-২০ টাকা করে। বেশিরভাগ মানুষেরই ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে বাজারদর। রমজানের শুরুতেই দ্রব্যমূল্যের ঊধ্বগতিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন সাধারণ মানুষ।
ঝালকাঠি শহরের কলাবাগান এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান বলেন, আমি ঢেঁড়স কিনেছি ৬০ টাকা কেজি। আগে ছিল ৪০ টাকা। লেবু এক হালি কিনতাম ১০টাকায়, এখন ৪০ টাকা। টমেটো, গাজর, মুলা, পেঁপেঁসহ সবকিছুরই দাম আগের চেয়ে বাড়তি। অনেকে দরদাম করে ফিরে যাচ্ছেন। যাদের সামর্থ আছে, তারাই কিনতে পারছেন।
নতুনচর এলাকার রিকশাচালক মো. সেলিম বলেন, আমাদের মতো গরিবের এই বাজারে সবজি কিনে খাওয়ার সামর্থও হারিয়েছে। দুইদিন আগের চেয়ে এখন দ্বিগুন দাম সবকিছুতেই।
ঝালকাঠির কয়েকজন বিক্রেতা বলেন, ঝালকাঠি থেকে উৎপাদিত তরকারি এখানকার মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারে না। তাই আমাদের উত্তারঞ্চল থেকে আনতে হচ্ছে। আমরা অতিরিক্ত দামে বিক্রি করছি না, অন্যান্য স্থানের সঙ্গে মিলিয়ে দরদাম ঠিক রাখা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর (এনডিসি) মো. বশির গাজী জানান, রমজানে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করেছে জেলা প্রশাসন। বাজারদর মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখতে প্রতিদিনই অভিযান করা হবে।
এইচকেআর
