রাজাপুরে কেওতা মাদ্রাসায় শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করায় শিক্ষককে শোকজ


ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার কেওতা ঘিগড়া ফাজিল মাদ্রাসায় এক ৫ম শ্রেণির শিশু শিক্ষার্থীকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ’র বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি ঘটন করার পাশাপাশি অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেছে। সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউর রহমান।
এর আগে গত রবিবার সকালে মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। আহত শিশু শিক্ষার্থীরা বাবা আবুল বাশার জানান, শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করে শিক্ষার্থীরা টেবিলের উপরে খেলতেছিলো। ৪জন টেবিলের চারপাশে দাড়ালে আমার কন্যা হামিদা স্যারের চেয়ার সোজা দাড়ানো ছিলো। ভুলক্রমে চেয়ারে বসে পড়ে। এসময় হঠাৎ ক্লাসে ঢুকে পরেন শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ। তিনি শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করেই হামিদার মুখমন্ডলে কয়েকটি চড় থাপ্পর দেয়। পরে ঘাড় ধরে ধাক্কা দিলে বেঞ্চের উপরে পড়ে যায়। এতে মাথা, গালে এবং হাটুতে আঘাত লাগে। স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা শেষে এখন বাসায় বিশ্রামে আছে। সোমবার একটি পরীক্ষা থাকায় শুধুমাত্র হাজিরা দিয়ে আবার বাড়িতে নেয়া হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক আজাদ ছাত্রী হামিদাকে মারধরের সত্যতা স্বীকার করে জানান, আমি ক্লাসে গিয়ে দেখি আমার চেয়ারে বসা। তখন আমি তার গালে একটি থাপ্পর দিলে সে পড়ে গিয়ে আহত হয়। তিনি জানান, আমার আপন ছোট ভাই পিন্টুও সাংবাদিক।
এ ব্যাপারে মাদ্রাসা অধ্যক্ষ মাওলানা অলিউর রহমান জানান, রোববারে মাদ্রাসার জরুরী কাজে ব্যস্ত থাকায় হঠাৎ দেখি একটি ছাত্রীকে মাদ্রাসা থেকে হাতে হাতে ধরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জেনে ওই ছাত্রীকে অভিভাবকসহ ডেকে এনে তার কাছ থেকে ঘটনার বিস্তারিত জেনে চিকিৎসার দায়ভার নিয়েছি। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ৩সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছি এবং ঘটনা সম্পর্কে তার কাছ থেকে জানতে কারণ দর্শনো (শোকজ) নোটিশ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার সার্বিক বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও ঝালকাঠির অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন জানান, বিষয়টি আমি সোমবার রাতে জেনেছি। মাদ্রাসার অধ্যক্ষকে আমার মাধ্যমে মন্ত্রণালয়ে অবহিত করতে বলেছি।
এইচকেআর
