অভিযান-১০ লঞ্চ ট্রাজেডি : নিহত ১৮ যাত্রীর পরিবার পেল ২৭ লাখ টাকা


ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহত ১৮ যাত্রীর পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। নৌ দুর্যোগ তহবিল ট্রাস্টের সহায়তায় প্রতিটি পরিবার দেড় লাখ টাকা করে অনুদান পেয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ সহায়তা প্রদান করা হয়। এ সময় অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের স্বজনদের কান্নায় পরিবেশ ভারি হয়ে ওঠে।
বরগুনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক পিযুষ চন্দ্র দেবের সভাপতিত্বে সহায়তা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিট্রা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে নৌ দুর্যোগ তহবিল ট্রাস্টের পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করেন বরগুনা নদী বন্দর কর্মকর্তা মামুনুর রশীদ।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের নৌ-নিট্রা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বলেন, সুগন্ধা নদীতে লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডে নিহতদের মধ্যে শনাক্ত হয়েছেন ২৫ জন। তার মধ্যে বরগুনা জেলারই রয়েছেন ১৮ জন। এই ১৮ জন নিহত যাত্রীর পরিবারকে আমরা দেড় লাখ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি। শনাক্ত না হওয়া বাকি ২২ জনের স্বজনদের ডিএনএ সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য সিআইডির ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। শনাক্ত হলে তারাও সহায়তার আওতায় আসবেন।
এ সময় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, লঞ্চে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় দোষীদের বিচার হবে। এ দুর্ঘটনায় আরও যারা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন কিংবা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদেরকে সহায়তা করা হবে।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে বরগুনাগামী এমভি অভিযান-১০ লঞ্চে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৪৯ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এদের মধ্যে ৩৭ জনের বাড়ি বরগুনায়। এদের মধ্যে শনাক্ত করা হয়েছে ২৫ জনকে। আর অজ্ঞাত পরিচয় হিসেবে দাফন করা হয়েছে ২৩ জনের মরদেহ।
এসএম
