ঢাকা রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫

Motobad news

আমতলীতে খাল খননের দাবী কৃষকদের

আমতলীতে খাল খননের দাবী কৃষকদের
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের পূর্বচিলা গ্রামের হাপুরিয়া খালটি পলি পরে ভরাট হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে কৃষকরা।

উপজেলার হলদিয়া ইউনয়নের পুর্বচিলা গ্রামের বহু বছরের পুরনো প্রবাহমান একটি জনগুরুত। পূর্ণ হাপুরিয়া খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এ সুবাদে কিছু সুবিদাবাদীরা খালের জমি নাল ভূমি দেখিয়ে বন্দোবস্ত নেয়ায়  কৃষি জমিতে আবাদ করতে না পেরে পানির জন্য হাহাকার করছেন কৃষকরা। খাল থেকে পানি সংগ্রহ করতে না পেরে ফসলি জমিতে বোরো, ইরিগেশন, ডাল, মরিচ, বাদাম ও পানসহ বিভিন্ন ফসল আবাদ করতে পারছেন না তারা।

কয়েক বছর ধরে প্রায় ২  কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে গেছে। (মাঠ) চরম পানির সঙ্কট দেয়া দিয়েছে।এতে কৃষকরা সঠিক সময়ে বীজতলা করতে পারছেন না। এছাড়া অন্যান্য ফসল ও সবজি চাষও ব্যাহত হচ্ছে।

স্থানীয়দের তথ্যমতে, খালের দুই পাশে অন্ততপক্ষে ১ হাজার  হেক্টর ফসলি জমি রয়েছে। খালটি ভরাট হওয়ার ফলে বিলের পানি চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে এলাকার কৃষকরা ধান চাষ করতে পারছেন না। প্রতি বছর এলাকার কৃষকগন ৬০-৭০ হাজার মন ইরি বোরো ধান থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

স্থানীয়র কৃষক মো. ইলিয়াস হাওলাদার  জানান, এখালের পানি দিয়ে তরমুজ, ইরি বোরো চাষ করতো কৃষকরা। খালটি পলি পড়ে ভরাট হয়ে যাওয়ায় স্থানীয় কিছু ভূমি দস্যু আমতলী উপজেলা ভূমি অফিসের যোগসাজসে  ধনী শ্রেনীর ভূমিহীনদের  নামে বন্দোবস্ত দিয়েছেন। বর্ষা মৌসুমে অতিমাত্রায় বৃষ্টি, কয়েক দফা বন্যায় কৃষকদের আমন ধানের ফলন নষ্ট হয়েছে।

কৃষক নয়া মিয়া বলেন,  জরুরী ভিত্তিত্বে  হাপুুরয়িা খালটি খনন করা দরকার। আরেক কৃষক  রিপন মিয়া আমরা পানির অভাবে  রবি শস্যর  আবাদ করতে পারছিনা। 

হলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক  বলেন, হাপুরিয়া খালটি জরুরী ভাবে খনন করা প্রয়োজন।  কৃষকরা পানির অভাবে চাষাবাদ করতে পারছেনা।  আমি খালটি খননের ব্যাপারে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসির) সাথে যোগাযোগ করছি।

এ ব্যাপারে আমতলী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মো.নাজমুল ইসলাম  বলেন, পরিবেশ রক্ষার জন্য নদী, খাল বিল ও জলাশয়ের কোন শ্রেণী পরিবর্তন করা যাবে না এমন সরকারী নির্দেশনা রয়েছে।

আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ  বলেন, বন্দোবস্তর  বিষয়টি  তদন্ত করে দেখা হবে। খাল খননের বিষয়টি  বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসির) সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন