ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

১৯ বছর আগের হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চারজন খালাস

১৯ বছর আগের হত্যা মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চারজন খালাস
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী বাবর মিয়াকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে বাকি সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়েছে।

সোমবার (২৮ মার্চ) আলোচিত এই মামলার ডেথ রেফারেন্স, ফৌজদারি আপিল ও জেল আপিলের ওপর শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করেন বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ।
 
খালাস পাওয়া চারজন হলেন- লক্ষ্মীপুরের গোবিন্দপুর গ্রামের মোর্শেদ আলম, জগন্নাথপুর গ্রামের মাসুদ, মধ্য গোবিন্দপুর গ্রামের আবুল বাশার ও তিতারকান্দি গ্রামের কালা মুন্সি।

এছাড়া যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তিতারকান্দি গ্রামের আলম, মিরাজ, মঞ্জু, মামুন, ভুট্টো ওরফে আবদুস শহিদ এবং মহিন উদ্দিন।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ থেকে জানা যায়, ২০০৩ সালের ৮ মার্চ রাতে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার তিতারকান্দি গ্রামের যুবদল কর্মী বাবর মিয়াকে কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় তার ভাই নুর আলম ১৫ জনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরবর্তীকালে ২০১৬ সালের ৩০ আগস্ট মোট ২৩ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ ও শুনানি শেষে লক্ষ্মীপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাইদুর রহমান গাজী ১১ জনকে মৃত্যুদণ্ডসহ চারজনকে বেকসুর খালাস দিয়ে রায় প্রদান করেন।

রায়ের পরে বিচারিক আদালতের মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের আবেদন (ডেথ রেফারেন্স) হাইকোর্টে আসে। আর রায়ের বিরুদ্ধে আসামিরা আপিল ও জেল আপিল করেন।

১৯ বছর আগের লক্ষ্মীপুরের ওই মামলায় রায়ে সোমবার আদালত মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ জনের মধ্যে চারজনকে খালাস দেন। এছাড়া বাকি সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন।

এ দিন আদালতে আসামিদের পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও জে আর খান রবিন।

রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন বলেন, ‘নিরপেক্ষ সাক্ষ্য দিয়ে অপরাধ প্রমাণ করতে না পারায় চার আসামিকে খালাস দিয়েছেন মহামান্য হাইকোর্ট। তাদের নাম এজাহারে ছিল না। মামলার অন্য এক আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই চার আসামির নাম আসলেও সাক্ষীদের জবানবন্দি তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে সমর্থন করেনি। যে কারণে তাদেরকে খালাস দেওয়া হয়েছে।’


এসএম
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন