ঢাকা মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫

Motobad news

আলু পেয়াজের দাম কমলেও সুখবর নেই তেল চিনিতে

আলু পেয়াজের দাম কমলেও সুখবর নেই তেল চিনিতে
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

রমজান মাস উপলক্ষে কয়েক দিন ধরেই উত্তাপ চড়াচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। হঠাৎ করে তিন-চারটি পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। আবার সামান্য কমেছে দু-একটি পণ্যের। এভাবে অস্থির হয়ে ওঠা বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার বিভিন্ন পণ্যের আমদানিতে শুল্ক ছাড় ও তদারকি জোর করেছে। এতে নতুন করে দাম না বাড়লেও আগেই বেড়ে যাওয়া দাম কমেনি।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ কয়েকটি খুচরা বাজারে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আট থেকে ১০ দিন আগের বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। গত সপ্তাহের ব্যবধানে পণ্যটির দাম কমেছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। একই সঙ্গে আলুর দাম কমেছে দুই থেকে তিন টাকা। তবে এ দুটি পণ্যের দাম কমলেও সংসারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সয়াবিন তেল ও চিনির দাম কমেনি।

বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি করছেন খুচরা বিক্রেতারা। গত সপ্তাহে দাম ছিল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। গত সপ্তাহে আমদানি করা পেঁয়াজ ৫০ থেকে ৫৫ টাকায় বিক্রি হলেও এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়। আলুর দাম কমে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭ থেকে ১৮ টাকায়।

তবে ভোক্তার জন্য এখনও কোনো সুখবর নেই সয়াবিন তেল ও চিনির বাজারে। তেলের উৎপাদন, খুচরা ও সর্বশেষ আমদানি পর্যায়ে সরকার মোট ৩০ শতাংশ কর ছাড় দিয়েছে ব্যবসায়ীদের। কিন্তু বাজারে এর প্রভাব এখনও দেখা যায়নি। আগের মতোই বোতলজাত সয়াবিনের এক লিটার ১৬৮ এবং পাঁচ লিটারের বোতল ৭৯০ থেকে ৭৯৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে সামান্য কমছে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম। প্রতি কেজি খোলা সয়াবিন ১৬৫ থেকে ১৭০ এবং পাম অয়েল ১৫৫ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চিনি আমদানিতে শুল্ক ৩০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু এর প্রভাব দেখা যায়নি বাজারে। আগের মতোই ৭৮ থেকে ৮০ টাকায় চিনির কেজি বিক্রি হচ্ছে। ব্রয়লার মুরগি কয়েক মাস ধরেই বাড়তি দামে খেতে হচ্ছে ভোক্তাদের। গত সপ্তাহের ব্যবধানে ব্রয়লারের দাম কেজিতে বেড়েছে পাঁচ থেকে ১০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। আর সোনালি জাতের মুরগির কেজিতে ২০ টাকা বেড়ে হয়েছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা। ডিমের ডজন কেনা যাবে ১১০ থেকে ১১৫ টাকায়। গরুর মাংসের কেজি কিনতে খরচ হবে ৬৫০ টাকা পর্যন্ত।

দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মসুর ডালের কেজিতে দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। আমদানি করা বড় দানার মসুর ডালের কেজি ১১০ আর দেশি ছোট দানার ডালের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১২৫ থেকে ১৩০ টাকায়। বেড়ে যাওয়া চালের দাম কমেনি এখনও। মিনিকেট চালের কেজি ৬৫ থেকে ৬৮, নাজিরশাইল ৭০ থেকে ৭৫ টাকা, বিআর-২৮ জাতীয় চাল ৫০ থেকে ৫৫ এবং মোটা চালের কেজি ৪৮ থেকে ৫২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন