ঢাকা সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫

Motobad news

শবেবরাত ক্ষমাপ্রার্থনার রাত

শবেবরাত ক্ষমাপ্রার্থনার রাত
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

শবেবরাত অর্থ মুক্তির রাত। হাদিসের ভাষায় বলা হয় ‘লাইলাতুন নিসফি মিন শাবান’। আরবি ভাষায় বলা হয় ‘লাইলাতুল বারাত’। আল কোরআনে এ রাতকে লাইলাতুল মুবারকা বা বরকতময় রাত অভিহিত করা হয়েছে। এছাড়া তাফসির, হাদিস ও ফিকাহর ব্যাখ্যাগ্রন্থগুলোয় ভিন্ন নামে, ভিন্ন শব্দে ও ভিন্ন পরিভাষায় শবেবরাতের আলোচনা এসেছে। এ রাতকে ‘লাইলাতুল কিসমাহ’ বা ভাগ্যরজনীও বলা হয়।

লাইলাতুত তওবাহ’ বা তওবার রাত, তওবা কবুল হয়। ‘লাইলাতুল আফউ’ বা ক্ষমার রাত। ‘লাইলাতুল ইৎক’ তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তির রাত। ‘লাইলাতুত দোয়া’ বা প্রার্থনার রাত। ইবনে মাজাহয় এভাবে এসেছে- হজরত আলী (রা.) থেকে বর্ণিত। রসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যখন তোমাদের কাছে শাবানের মধ্যরাত (শবেবরাত) উপস্থিত হবে তখন তোমরা সে রাতটি জাগ্রত থাক (নামাজ পড়ে, কোরআন তিলাওয়াত করে, তাসবিহ পড়ে, জিকির করে, দোয়া করে) এবং দিনের বেলা রোজা রাখ।
কারণ এ রাতে মহান আল্লাহ সূর্যাস্তের পর থেকে ফজর পর্যন্ত দুনিয়ার আসমানে তাশরিফ আনেন এবং তিনি ঘোষণা করেন, আছে কি এমন কোনো ব্যক্তি যে তার গুনাহ মাফের জন্য আমার কাছে প্রার্থনা করবে। আমি তার গুনাহগুলো মাফ করে দেব। আছে কি এমন কোনো রিজিক প্রার্থনাকারী যে আমার কাছে রিজিক প্রার্থনা করবে? আমি তার রিজিকের ব্যবস্থা করে দেব। আছে কি এমন কোনো বিপদগ্রস্ত যে আমার কাছে বিপদ থেকে মুক্তি চাইবে? আমি তাকে বিপদ থেকে উদ্ধার করব।

এভাবে পূর্ণরাত মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে ঘোষণা হতে থাকে এবং বান্দাদের ওপর রহমত বৃষ্টির মতো নাজিল হতে থাকে।’ মুসলিম উম্মাহর শান্তি ও সমৃদ্ধি এবং ক্ষমা নিয়ে শবেবরাত আসে। আল্লাহ শুধু তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। এ রাতে তিনি তাঁর অসংখ্য বান্দাকে ক্ষমা করেন।

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, ‘রসুল (সা.) মধ্যশাবানের রাতে মদিনার কবরস্থান জান্নাতুল বাকিতে এসে মৃতদের জন্য দোয়া ও ইসতিগফার করতেন।’ তিনি বলেন, ‘এ রাতে মহান আল্লাহ বনি কালবের বকরির পশমের সংখ্যার চেয়েও বেশি-সংখ্যক বান্দাকে ক্ষমা করে দেন।’ (তিরমিজি)।

লেখক : ইসলামবিষয়ক গবেষক।


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন