ঢাকা শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫

Motobad news

সিইসি'র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল

সিইসি'র বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

রাজনৈতিক দল হিসেবে ‘গণসংহতি আন্দোলনকে’ নিবন্ধন দিতে উচ্চ আদালতের রায় ও নির্দেশনা না মানায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে কেন তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে। চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।  

দলটির প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকির আবেদনে বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ রুল দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।  
গণসংহতি আন্দোলনকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন চেয়ে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের কাছে আবেদন করা হয়। পরের বছরের ১৯ জুন নির্বাচন কমিশন এক চিঠির মাধ্যমে নিবন্ধন করা যাবে না বলে জানায়। পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষে দলটির প্রধান সমন্বয়ক মো. জোনায়েদ আব্দুর রহিম সাকি উচ্চ আদালতে রিট মামলা করেন।

রিটের প্রাথমিক শুনানির পর আদালত দলটির নিবন্ধন প্রশ্নে রুল জারি করে। চূড়ান্ত শুনানি শেষে উচ্চ আদালত ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল রুল যথাযথ ঘোষণা করেন এবং রায়ের অনুলিপি পাওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে নিবন্ধন দিতে আইনগত প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে নির্দেশ দেন। তখন প্রধান নির্বাচন কমিশনার ছিলেন কে এম নুরুল হুদা।  

পরবর্তীতে গণসংহতি আন্দোলনের পক্ষ থেকে এ রায় ও আদেশের সত্যায়িত অনুলিপি যথাসময়ে নির্বাচন কমিশনে দাখিল করা হয়। আদালত থেকেও রায় সিইসির দপ্তরে পাঠানো হয়। তারপরেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্বাচন কমিশন কোনো প্রকার পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি।

এরপর বিভিন্ন সময় দলের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হলেও কোনো ফল না পাওয়ায় গত বছরের ১০ অক্টোবর আইনজীবীর মাধ্যমে আদালত অবমাননার নোটিশ পাঠানো হয় নুরুল হুদাকে। ওই নোটিশের পর দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও নির্বাচন কমিশন গণসংহতির নিবন্ধনের বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।  

এরপরই গত ১০ ফেব্রুয়ারি সিইসি কে এম নূরুল হুদার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা চেয়ে অবেদন করেন গণসংহতি আন্দোলনের শীর্ষ নেতা জোনায়েদ সাকি।  

আইনজীবী জ্যেতির্ময় বড়ুয়া বলেন, “আবেদনটি কে এম  নুরুল হুদার বিরুদ্ধেই করা হয়েছিল। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে সিইসি পরিবর্তন হওয়ায় আদালতের নির্দেশ বর্তমান সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালকে বিবাদী করা হয়েছে। এখন রুলের জবাব বর্তমান সিইসিকেই দিতে হবে। ”


এমইউআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন