বরিশাল বিভাগে প্রথম দিনে টিকা নিয়েছে সাত লক্ষ মানুষ


বরিশালে দ্বিতীয় দিনের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে গণটিকা কার্যক্রম। দ্বিতীয় দিনেও কেন্দ্রগুলোতে টিকা নিতে আসা মানুষের প্রচুর ভিড় দেখা যায়। কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা বা অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দ্বিতীয় দিনের গণটিকা কার্যক্রম শেষ হয়েছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ সোমবারও সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও গণটিকা কার্যক্রম চলবে।
স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন গণটিকা কার্যক্রমের মাধ্যমে ৭৮ লাখ ১৬ হাজার মানুষকে টিকা দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এর মধ্যে কার্যক্রমের প্রথম দিনে অর্থাৎ গত ২৬ ফেব্রুয়ারি বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় মোট ছয় লাখ ৭৯ হাজার মানুষকে প্রথম ডোজের টিকা দেয়া হয়েছে।
এদিন টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ২৭ হাজার ২ জন। প্রথম দিনে সব মিলিয়ে মোট ৭ লাখ ৭ হাজার মানুষ টিকা নিয়েছেন। এছাড়া গণটিকা কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনেও অসংখ্যা মানুষ টিকা গ্রহণ করেছেন বলে জানান তিনি। প্রথম দিনে সকাল থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত টিকা কার্যক্রম চলমান ছিলো।
স্বাস্থ্য বিভাগের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘গণটিকার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ফাইজার এবং অন্যদের সিনোভ্যাক্সের টিকা দেয়া হচ্ছে। এজন্য প্রতি ইউনিয়নে ৩টি, পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি এবং সিটি কর্পোরেশনের প্রতিটি ওয়ার্ডে ৯টি করে টিকা প্রদান কেন্দ্র রয়েছে।
এছাড়া উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও ভ্রাম্যমান কেন্দ্র থেকে গণটিকা দেয়া হচ্ছে। আবার যারা চলাচলে অক্ষম তাদের বাড়িতে গিয়ে টিকা প্রদান করছে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের ভ্রাম্যমান টিকাদান কেন্দ্র। এ কাজে বিসিসিকে সহযোগিতা করছে রেড ক্রিসেন্টের ৬০ জন স্বেচ্ছাসেবী।
এদিকে, ‘স্বাস্থ্য বিভাগের উপ-পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল বলেন, ‘সোমবার তৃতীয় দিন গণটিকা কার্যক্রম শেষ হবে। আমরা চাচ্ছি সবাই যেন করোনার টিকা নিতে পারেন। এজন্যই গণটিকা কার্যক্রম একদিনের পরিবর্তে সরকার তিনদিন করেছে। গণটিকা কার্যক্রম শেষেও যারা বাদপড়বেন তারা প্রথম ডোজ গ্রহণ করতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে কোন প্রকার অর্থের প্রয়োজন হবে না। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী চাচ্ছেন কোন টাকা ছাড়াই প্রতিটি মানুষ টিকার আওতায় আসুক।
কেআর
