মিজান-বাছিরের মামলার রায় কাল


পুলিশের সাময়িক বরখাস্ত ডিআইজি মিজানুর রহমান ও দুদক থেকে সাময়িক বরখাস্ত পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরের ৪০ লাখ টাকা ঘুষ লেনদেনের অভিযোগের মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য রয়েছে আগামীকাল বুধবার।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪ এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশারফ হোসেন কাজল বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আগামীকাল সকাল সাড়ে ১০টার পরে এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
গত ২৩ ডিসেম্বর মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভূক্ত ১৭ সাক্ষীর মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণে সক্ষম হয়েছে মর্মে রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা প্রত্যাশা করছে দুদক। আর আসামিপক্ষ বলছে দুদক অভিযোগ প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই তারা খালাস পাবেন।
২০২০ সালের বছরের ১৯ জানুয়ারি দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্যা আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ মামলার চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দাখিল করেন। এরপর ওই বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে এ চার্জশিট গ্রহণ করেন আদালত। একই বছরের ১৮ মার্চ এ মামলার চার্জ (অভিযোগ) গঠনের আদেশ দেন আদালত।
ওই বছরের ১৯ আগস্ট এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর এ মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়। মামলায় চার্জশিটভুক্ত ১৭ জনের মধ্যে ১২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। এ মামলায় গত ২৪ জানুয়ারি দুদকের পক্ষে দুই আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করা হয়।
চার্জশিটে বলা হয়, দুদকের পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছির সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে কমিশনে দায়িত্ব পালনকালে অসৎ উদ্দেশ্যে, নিজে লাভবান হওয়ার আশায়, ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে ডিআইজি মো. মিজানুর রহমানকে অবৈধভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়ার হীনউদ্দেশ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুস গ্রহণ করেন।
অপরদিকে মিজানুর রহমান সরকারি কর্মকর্তা হয়ে নিজের বিরুদ্ধে আনীত অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যাহতি পাওয়ার জন্য অর্থাৎ অনুসন্ধানের ফলাফল নিজের পক্ষে নেওয়ার জন্য অসৎ উদ্দেশ্যে এনামুল বাছিরকে অবৈধভাবে প্রভাবিক করার লক্ষ্যে ৪০ লাখ টাকা ঘুস দিয়ে পরস্পর যোগসাজশে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন।
২০১৯ সালের ১৭ জুলাই ৪০ লাখ টাকা ঘুস লেনদেনের অভিযোগে ডিআইজি মিজান ও এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে এ মামলাটি করা হয়।
এইচকেআর
