জায়েদের ডিনার পার্টিতে 'ওরা ১১ জন'


'টক অব দ্য কান্ট্রি'তে পরিণত হয়েছিলো এবারের চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন। সমিতি নতুন নেতৃত্ব পেলেও সাধারণ সম্পাদকের পদ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন চিত্রনায়ক জায়েদ খান ও চিত্রনায়িকা নিপুণ। আইনি ঝামেলায় জড়ালেও নিজের প্যানেল থেকে নির্বাচিত ১১ জন শিল্পীকে নিয়ে বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে হোটেল রেডিসন ব্লুতে ডিনার পার্টি দিয়েছিলেন জায়েদ খান।
এ সময় জায়েদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন অঞ্জনা, সুচরিতা, রোজিনা, আলীরাজ, ডিপজল, রুবেল, অরুণা বিশ্বাস, মৌসুমী, আতিকুর রহমান চুন্নু ও জয় চৌধুরী। বিজয়ী ১১ জন ছাড়াও অভিনেতা ওমর সানিসহ আরো কয়েকজন তাদের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন।
সেই মুহূর্তে তোলা দুটি ছবি ফেসবুকে পোস্ট করে জায়েদ খান লিখেছেন, 'আপনাদের ভালোবাসাই আমাদের শক্তি।' সঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন ভালোবাসার ইমোজি।
এদিকে শিল্পী সমিতির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক জয় চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, 'আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি, আদালতের রায়কে মেনে নেব। তবে অন্যরা আদালত অবমাননা করলে সেটা ভালো দেখাবে না। আমরা শুরু থেকে যেমন নমনীয় ও সহনীয় হয়ে থেকেছি আগামীতেও সেই ধারা বজায় থাকবে।'
তিনি আরও বলেন, 'আসলে নির্বাচনের পরে আমাদের একটা গেট টুগেদার হওয়ার দরকার ছিল। সেটা হয়ে উঠছিল না। গতকাল সবাই সময় বের করে সেই গেট টুগেদার করলাম।'
জয় চৌধুরী যোগ করেন, 'রোজিনা ম্যাডাম ও অঞ্জনা ম্যাডামকে নিয়েও আমরা আলোচনা করেছি। রোজিনা ম্যাডাম আগে পদত্যাগের কথা বলেছিলেন ঠিকই, তবে তিনি সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছেন। অঞ্জনা ম্যাডাম শপথ নিয়েছিলেন, তিনি আমাদের সঙ্গে আবার শপথ নেবেন।’
এদিকে রোজিনা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমি একজন শিল্পী। নিজেদের মধ্যে কাদা-ছোড়াছুড়ি দেখে খুব বিরক্ত হয়ে গিয়েছিলাম। সামান্য এ পদ নিয়ে মামলা পর্যন্ত হলো। এটা আমার পুরো অভিনয় জীবনে দেখিনি। আমি লজ্জায় পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। পরে ডিপজল, আলীরাজ ভাইসহ কয়েকজন শিল্পী আমাকে বুঝিয়েছেন। তারা বলেছেন আমাকে যোগ্য সম্মান দেওয়া হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাকে জায়েদ খান বলেছে সিনিয়রদের সব বৈঠকে থাকা লাগবে না। শুধু গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্তের সময় তাদের মতামত নেওয়া হবে। তাও সমিতিতে না আসতে পারলে ফোনে জানালেও চলবে। আমার মনে হয়েছে, তাহলে সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্য হিসেবে থাকতে সমস্যা নেই। আমি নতুন করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি মেইল উইথ-ড্র করব।'
এইচকেআর
