অর্থ আত্মসাৎ : বিমানবন্দরে বিএনপি নেতার ভাই গ্রেপ্তার


ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ করে দীর্ঘদিন আত্মগোপনে থাকার পর দুবাই পালানোর পথে গ্রেপ্তার হয়েছেন বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরীর ভাই মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরী।
বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ইমিগ্রেশন পুলিশ।
আমজাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানি লন্ডারিং আইনের ১৫টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল। এতদিন পলাতক থাকলেও গত বৃহস্পতিবার রাতে তিনি দুবাইয়ের উদ্দেশে শাহ আমানত বিমানবন্দরে যান। ইমিগ্রেশন অতিক্রম করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়েন তিনি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বলেন, ‘দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের চিঠি দেওয়া হয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে রাতে আমজাদ হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে দুদককে খবর দেয়। বর্তমানে তিনি সীতাকুণ্ড থানা পুলিশের হেফাজতে আছেন।’
আসলাম চৌধুরীর রাইজিং গ্রুপের খেলাপি ঋণ দুই হাজার কোটি টাকা।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আমজাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই এবি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার ৩২৫ কোটি ৭৬ লাখ ৩০ হাজার ৯৫৫ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করে দুদক। যে মামলায় আমজাদ ছাড়াও তার ভাই বিএনপি নেতা আসলাম চৌধুরী, জসিম উদ্দিন চৌধুরী ও জামিলা নাজনিল মাওলাকেও আসামি করা হয়।
মূলত তাদের পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রাইজিং স্টিল মিল লিমিটেডের নামে ঋণ খুলে অর্থ আত্মসাৎ করা হয়। এছাড়া তাদের নামে হালি শহরের সাউথ ইস্ট ব্যাংকের ১৪৮ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ২০১৬ সালের ২৬ ডিসেম্বর হালিশহর থানায় আরেকটি মামলা করা হয় দুদকের পক্ষ থেকে।
এমন অর্থ আত্মসাতসহ ১৫টি মামলার চার্জশিটভূক্ত আসামি ছিলেন আমজাদ হোসেন চৌধুরী। যার বিরুদ্ধে ইতোমধ্যেই ১৫টি পরোয়ানা জারি করা ছিল। কিন্তু এতদিন তিনি পলাতক ছিলেন।
২০২১ সালের ২৬ জানুয়ারি দুদকের প্রধান কার্যালয়ের মানি লন্ডারিং শাখা থেকে মো. আমজাদ হোসেন চৌধুরীর বিরুদ্ধে দেশত্যাগ করতে না পারার বিষয়ে সকল বন্দরে চিঠি দেয় দুদক।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, ‘দুবাই যাওয়ার পথে ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর আমজাদ হোসেন চৌধুরীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তিনি বর্তমানে আমাদের হেফাজতে আছেন।’
এইচকেআর
