মুক্তিযোদ্ধার সন্তানকে হত্যার মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার


বরিশালে এক মুক্তিযোদ্ধা সন্তান দিপু হালদার হত্যা মামলার আসামি বরিশাল মহানগর যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিখনকে গ্রেফতার করেছে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। আসামির ছবি তুলতে গেলে ক্যামেরা ভাঙার চেষ্টা চালায় আসামি অনুসারীরা। গত ২৭ জানুয়ারি বরিশালের বাঘিয়া এলাকায় খুন হন দিপু হালদার।
নিহতের স্বজন ও স্থানীয়রা জানান, মাদক সেবনের প্রতিবাদ করায় একই এলাকার মাদকসেবী কুডূ মিস্ত্রীসহ আরো চার পাঁচজন গত ২৭ জানুয়ারি রাত ৯ টার দিকে দিপুকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা হত্যা করে। নিহতের ছোটবোন বাদি হয়ে ঘটনার ২ দিন পর বিমানবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করে। এই মামলায় যুবলীগ নেতা কামরুজ্জামান লিখনসহ আরো ৪ জনার নাম উল্লেখ করা হয়।
বৃহস্পতিবার সকালে এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ আসামি লিখনসহ লিটু নামের আরো একজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়। পরে পুলিশের পক্ষ থেকে আসামিদের হাইকোর্টে জামিন রয়েছে বলে গণমাধ্যম কর্মীদের জানানো হয়। তবে সাংবাদিকরা সেই ডকুমেন্ট দেখতে চাইলে তাদের দেখানো হয়নি। এই ঘটনায় আটক ২ জনের মধ্যে লিটু হাইকোর্টের আগাম জামিনে থাকায় তাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ।
অন্যদিকে নিহত দিপুর পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তোলেন। এমনকি গ্রেফতারের পর যুবলীগ নেতা লিখনের হাতে হাতকড়া না পড়িয়ে পুলিশ ভ্যানের সামনের সিটে বসিয়ে আদালতে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়।
এই ঘটনার ভিডিও করতে গেলে সংবাদ কর্মীদের ক্যামেরা বন্ধ করার হুমকি দেন লিখনের অনুসারীরা। ক্যামেরা ভাংচুরের চেষ্টাও চালানো হয়। এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক আমান উল্লাহ বারী বলেন, একটি হত্যা মামলায় লিখন নামের এক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
কেআর
