কে হচ্ছেন পেস বোলিং কোচ, ভাস না চম্পাকা রামানায়েক?


বিপিএলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের হয়ে কোচিং করাতে এসে বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচ হওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শন টেইট। কেউ কেউ মনে করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এ সাবেক ফাস্ট বোলারও হয়ে যেতে পারেন মোস্তাফিজ, তাসকিন ও শরিফুলদের কোচ।
তবে সে সম্ভাবনা শেষ। কারন শন টেইটকে পেস বোলিং কোচ হিসেবে নিয়ে নিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবি। এখন বিসিবির সামনে অপশন কমে আসলো। যতদুর জানা গেছে, এ মুহূর্তে পেস বোলিং কোচ হওয়ার দৌড়ে আছেন তিনজন; চামিন্দা ভাস, চম্পাকা রামানায়েকে এবং ভেঙ্কটেশ প্রসাদ।
এখন দেখার বিষয় বিসিবি শেষ পর্যন্ত কাকে পেস বোলিং কোচ হিসেবে বেছে নেয়? বিসিবি পরিচালক ও গেম ডেভেলপমেন্ট কমিটি চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ সুজনের কথা শুনে মনে হচ্ছে, আফগানিস্তানের সঙ্গে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি সিরিজেই পেস বোলিং কোচ নিয়োগের সম্ভাবনা খুব কম।
এ সম্পর্কে জাতীয় দলের টিম ডিরেক্টর সুজনের ব্যাখ্যা, ‘আমরা আসলে তাড়াহুড়ো করতে চাচ্ছি না, দেখা যায় তাড়াহুড়োর কাজটা কখনোই ভালো হয় না।’
টিম বাংলাদেশের টিম ডিরেক্টর জানিয়ে দিলেন যে পেস বোলিং কোচ হিসেবে দুই লঙ্কান চামিন্দা ভাস আর চম্পাকা রামানায়েকের নাম এসেছে। এদের দুজনার কার কী গুণ? তাও জানিয়ে সুজন বলেন, ‘চামিন্দা ভাস অবশ্যই অনেক বড় খেলোয়াড় ছিলেন। কোচ হিসেবে কত বড়, আসলে তা প্রমাণিত না এটা।’
আর চম্পাকা রামানায়েকে সম্পর্কে বলতে গিয়ে সুজন বলে ওঠেন, ‘চম্পাকা এ দেশে অনেকদিন ধরে কাজ করছে। আমাদের যত তরুণ পেসার উঠে এসেছে, তাদের প্রায় সবাই চম্পাকার সাথে কোনো না কোনোভাবে কাজ করেছে। সুতরাং চম্পাকা ওদের ব্যাকগ্রাউন্ড জানে, সবই জানে। এখনকার একটা সমাধা হয়তো চম্পাকা হতে পারে।’
এটুকু শুনে হয়ত মনে হচ্ছে, তবে কি খালেদ মাহমুদ সুজনের ফার্স্ট চয়েজ চম্পাকা? নাহ! পরের লাইনেই আছে টিম বাংলাদেশ ডিরেক্টর এর আসল কথা, ‘দীর্ঘমেয়াদী চিন্তা করলে আমরা এমন কাউকে নিতে চাই যাকে নিলে বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ফলপ্রসূ হবে।’
এইচকেআর
