‘বাড়াবাড়ি করে থাকলে ক্ষমা চাই’


অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের চাকরি থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নিয়েছেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। তার অধীনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছে অজিরা।
সম্প্রতি ঘরের মাঠে চির প্রতিদ্বন্দ্বী ইংল্যান্ডকে অ্যাশেজের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজে ৪-০ ব্যবধানে পরাজিত করে অস্ট্রেলিয়া। শুধু তাই নয়, গত বছর আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে প্রথমবার শিরোপা জয়ের স্বাদ পায় অস্ট্রেলিয়া।
দলের এমন নান্দনিক পারফরম্যান্সে ল্যাঙ্গার আশা করেছিলেন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ) তার সঙ্গে লম্বা সময়ের জন্য চুক্তিসই করবে। কিন্তু গত শুক্রবার সিএ তাকে মাত্র ৬ মাসের চুক্তি বাড়ানোর প্রস্তাব দেয়। ঠিক পরদিন ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী নিক হকলির কাছে মেইলে পদত্যাগপত্র পাঠান ল্যাঙ্গার।
ল্যাঙ্গারের পাঠানো সেই পদত্যাগপত্রটি হাতে পেয়েছে বলে দাবি করছে ‘দ্য অস্ট্রেলিয়ান’ পত্রিকা।
সংবাদ মাধ্যমটি জানায়, মাথা উঁচু করে বিদায়ের সুযোগ দিতে গত রাতে আমাকে অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শেষ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত মেয়াদের চুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়। অনেক চিন্তা-ভাবনার পর আমি চুক্তি নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেই।
২০১৮ সালে বল-টেম্পারিং কাণ্ডের পর টালমাটাল অবস্থায় অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের দায়িত্ব নেন সাবেক ওপেনার জাস্টিন ল্যাঙ্গার। সেই কঠিন সময় পার করে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ও অ্যাশেজ সিরিজে ইংল্যান্ডকে ৪-০ ব্যবধানে হারায় অস্ট্রেলিয়া।
দ্য অস্ট্রেলিয়ানের প্রতিবেদনে ল্যাঙ্গারের একটি বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রথম দিন থেকে আমি বিশ্বাস করেছি, আমাদের ভক্তদের আশা অনুযায়ী স্পিরিট নিয়ে খেলা সম্ভব। গত চার বছরে এটা প্রমাণিত হয়েছে। মাঠে ও মাঠের বাইরে দলের প্রচেষ্টার জন্য আমি গর্বিত। আশা করি, আমরা অস্ট্রেলিয়ানদের গর্বিত করতে পেরেছি এবং বিশ্বের সব দেশের সম্মান অর্জন করতে পেরেছি।
তিনি আরও বলেন, আমি কৃতৃজ্ঞ যে আজ মাথা উঁচু করেই বিদায় নিচ্ছি। আশা করি, ভালো কাজ করেছি এবং ভবিষ্যতে দলের জন্য সাফল্য কামনা করছি।
তবে অভিযোগ রয়েছে ক্রিকেটার এবং টিম ম্যানেজমেন্টের সঙ্গে বেশ কড়া আচরণ করেন জাস্টিন ল্যাঙ্গার। যে কারণে তার সঙ্গে এখনকার বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার ও সাপোর্ট স্টাফ কাজ করতে চান না।
এ ব্যাপারে ল্যাঙ্গার বলেছেন, সততা, সম্মান, বিশ্বাস, সত্য এবং পারফরম্যান্সের গুণাবলির ওপর আমার জীবনটা গড়া। যদি সময়ে সময়ে সেটা ‘বাড়াবাড়ি’ মনে হয়ে থাকে, তাহলে আমি ক্ষমা চাই।
এইচকেআর
