দাম কমছে না পাম অয়েলের


বিগত বছরে চাহিদা এবং সরবরাহের সঙ্গে সামঞ্জস্য না থাকায় অস্বাভাবিক হারে দাম বেড়েছিল পাম অয়েলের। ধারণা করা হয়েছিল, চলতি বছরে দাম কিছুটা হাতের নাগালে থাকবে। তবে বিভিন্ন গবেষণার তথ্য এবং উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সে আশা গুড়েবালি।
সম্প্রতি কাউন্সিল অব পাম অয়েল প্রডিউসিং কান্ট্রিজের (সিপিওপিসি) গবেষণা থেকে দেখা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি থেকে এখন পর্যন্ত নাইট্রোজেন ও ফসফেটের দাম বেড়েছে ৫০-৮০ শতাংশ। ফলে ক্ষুদ্র প্রতিষ্ঠানগুলো অতিরিক্ত ব্যয় কমাতে উৎপাদন সীমিত করতে পারে। এ ছাড়া চলতি বছর সরবরাহের সমস্যার কারণে পাম অয়েল খামারগুলো বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারে।
বৈশ্বিক পাম অয়েল উৎপাদনের ৮৫ শতাংশই আসে ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে। কিন্তু চলতি বছর এসব প্রতিবন্ধকতার কারণে দেশ দুটির উৎপাদন প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে।
সংশ্লিষ্ট তথ্যমতে, সংকুচিত সরবরাহের কারণে গত বছরই আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ অপরিশোধিত পাম অয়েলের ভবিষ্যৎ সরবরাহ মূল্য ৩১ শতাংশ বাড়ে। প্রতি টনের গড় মূল্য ১ হাজার ২৫২ ডলার ২৫ সেন্টে উন্নীত হয়েছে, যা রেকর্ড সর্বোচ্চ।
কাউন্সিলের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি ২০২১-২২ বিপণন মৌসুমে চীন ৭২ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করতে পারে। ২০২০-২১ মৌসুমে দেশটি ৬৮ লাখ টন আমদানি করেছিল। সে হিসেবে আমদানি বাড়বে চার লাখ টন। দ্বিতীয় শীর্ষ আমদানিকারক ভারত চলতি মৌসুমে আমদানি করতে পারে ৮৬ লাখ টন পাম অয়েল। আগের মৌসুমে আমদানির পরিমাণ ছিল ৮৫ লাখ টন। সে হিসাবে আমদানি বাড়বে এক লাখ টন। অন্যদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোর সম্মিলিত আমদানির পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ৬৯ লাখ টনে। ২০২০-২১ বিপণন মৌসুমে এসব দেশ ৬২ লাখ টন পাম অয়েল আমদানি করেছিল।
আমদানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা দেখলেও ওমিক্রনের বিস্তারকেও গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে সিপিওপিসি। সংস্থাটির আশঙ্কা, ওমিক্রন বিস্তার আরও জোরালো হলে পাম অয়েলের বৈশ্বিক চাহিদা পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া আবারও ব্যাহত হতে পারে।
এইচকেআর
