আমতলীতে  সরকারী সম্পত্তি দখলের চলছে মহোৎসব

বরগুনার আমতলীতে সরকারী সম্পত্তি দখলের মহোৎসব চলছে।  প্রশাসনের নাগের ডগায় দখল চললেও প্রশাসন নীরব। দখল বানিজ্য নিয়ে জনমনে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এলাকাবাসী  অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা । 

সরকারী সম্পত্তি ভূমি দস্যুদের দখলে থাকলেও  সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ উদাসিন ।  এতে  সরকারের  কোটি কোটি টাকা মূল্যের সম্পত্তি প্রতিনিয়ত দখল হয়ে যাচ্ছে। 

জানা গেছে, বরগুনার আমতলী উপজেলার গুলিশাখালী ইউনিয়নের গুলিশাখালী ভুমি অফিস  সলগ্ন ভূমি অফিসের  বাউন্ডারীর মধ্যে  মো. মহিন নামের এক ব্যক্তি প্রায় ৫ শতাংশ জমি  প্রকাশ্য দখল করে ভূমি  কর্মকর্তাদের চোখের সামনেই ঘর উত্তোলনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। মনে হয় যেন গুলিশাখালী ভূমি অফিস কর্মকর্তারাই ঘর উত্তোলন করতেছেন। 

এ ছাড়াও গুলিশাখালী বাজারের মধ্যে সরকারী ১ নং খতিয়ানের জমি যে যারমত দখল করে স্থাপনা করে  কেহ পরিবার নিয়ে বসবাস করছেন কেহ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বাজারের মধ্যে সরকারী হাটের  জমিতে মো.রিপন পঞ্চায়েত,জেসমিন বেগম প্রকাশ্য ঘর উত্তোলন করছেন দেখার কেহ নাই।  

এতে সরকার হারাচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকার রাজস্ব।  এ ভাবে দখল বানিজ্য চললেও সরকারী সম্পত্তি রক্ষনা বেক্ষনে  কর্মকর্তাদের কোন পদক্ষেপ নাই। 

ভূমি দস্যুদের  অশুভ তৎপরতা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উদাসিনতার কারনে  সরকারের  কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি বেহাত হয়ে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত । 

এ ব্যাপারে ঘর উত্তোলন কারী মো. মহিন মিয়া মুঠোফোনে  বলেন, আমি দীর্ঘদিন যাবৎ এখানে বসবাস করি।  বর্ষাকাল আসছে তাই ঘর উত্তোলন করতেছি। 

এবিষয়ে  গুলিশাখালী ইউনিয়ন ভূমিসহকারী কর্মকর্তা তহসিলদার মো.দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে বলেন আমাকে বদলী করা হয়েছে আমি কিছু জানিনা।  আর যাকে ভুমি সহকারী তহসিলদার  গুলিশাখালী ভূমি অফিসে দেওয়া হয়েছে সুভাস চন্দ্র শীল সে মুঠোফোনে বলেন আমি এখোনো চার্জ বুঝে পাই নাই।

আমতলী  উপজেলা নির্বাহী অফিসার  মো. আসাদুজ্জামান  মুঠোফোনে বলেন,  ঘর উত্তোলনের কাজ বন্দ করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ শনিবার ও কাজ করতেছে এমন প্রশ্নের  জবাবে  তিনি বলেন  এখনি  সহকারী ভ’মি কর্মকর্তাকে পাঠিয়ে কাজ বন্ধ করে  দিতেছি।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মো. হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, সরকারী সম্পত্তি রক্ষার জন্য কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।