চাঁদাবাজির মামলা : ৬ পুলিশের বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ


চট্টগ্রামের আনোয়ারা থানা এলাকায় চাঁদাবাজির মামলায় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনারের দেহরক্ষীসহ ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দায়ের করা চার্জশিট গ্রহণ করেছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর তারিখ (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত জামিন মঞ্জুর করা হয়েছে।
রোববার (১৬ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নাজমুন নাহার পুলিশের দেওয়া চার্জশিট গ্রহণ করে এ আদেশ দেন। এর আগে গত ৪ ডিসেম্বর ওই ছয় পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে পিবিআই।
আসামিরা হলেন- নগর পুলিশ কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীরের দেহরক্ষী কনস্টেবল মোরশেদ বিল্লাহ, নগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার গোয়েন্দা (পশ্চিম) মনজুর মোরশেদের দেহরক্ষী কনস্টেবল মো. মাসুদ, নগরের দামপাড়া রিজার্ভ ফোর্স অফিসে কর্মরত কনস্টেবল শাকিল খান ও এস্কান্দর হোসেন, নগর পুলিশের সহকারী কমিশনার কর্ণফুলী কার্যালয়ের কম্পিউটার অপারেটর কনস্টেবল মনিরুল ইসলাম ও নগর গোয়েন্দা পুলিশ (উত্তর) কর্মরত কনস্টেবল আবদুল নবী। তারা কারাগারে যাওয়ার পর বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।
চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের কোর্ট পরিদর্শক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে দেওয়া চার্জশিট আদালত গ্রহণ করেছেন। একই সাথে আগামী তারিখ (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত আসামিদের জামিন মঞ্জুর করেছেন। ওইদিনই তাদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর বিষয়ে শুনানি হবে।’
গত ৩ ফেব্রুয়ারি মধ্যরাতে ডিবি লেখা জ্যাকেট পরে আনোয়ারা উপজেলার পূর্ব বৈরাগ গ্রাম থেকে আবদুল মান্নান নামে এক ব্যবসায়ীকে তুলে নিয়ে যায় ৮ তরুণ। পরে ওই তরুণরা আবদুল মান্নানকে পটিয়ার ভেল্লাপাড়া এলাকায় নিয়ে আটকে রাখে। এ সময় আবদুল মান্নানের বিরুদ্ধে থানায় অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে জানিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে ওই ৮ তরুণ। পরবর্তীতে তাদের ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা দেওয়া হলে তারা তাকে ছেড়ে দেয়। পরে পুলিশ সদস্য পরিচয়ে অপহরণ এবং মুক্তিপণের অভিযোগে গত ৭ ফেব্রুয়ারি আনোয়ারা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন আবদুল মান্নান। মামলার সূত্র ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে ৬ পুলিশ কনস্টেবলের সম্পৃক্ততা পায়। এ ঘটনায় তাদের গ্রেপ্তারের পাশাপাশি তাদের সাময়িক বরখাস্ত করে বিভাগীয় মামলা করা হয়।
এমবি
