ঢাকা শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫

Motobad news

খালেদা জিয়ার শরীরে আবার রক্তক্ষরণ

খালেদা জিয়ার শরীরে আবার রক্তক্ষরণ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শরীরে আবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে। গত মঙ্গলবার রাতে তাঁর রক্তক্ষরণ শুরু হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তা বন্ধ হয়নি। ফলে তাঁর রক্তে হিমোগ্লোবিনও কমে এসেছে। ওষুধ প্রয়োগে রক্তক্ষরণ বন্ধ না হলে রক্ত বের হওয়ার উৎস খুঁজে বের করতে চিকিৎসকরা এন্ডোস্কোপি করবেন বলে জানা গেছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের চিকিৎসায় গঠিত মেডিক্যাল বোর্ডের একজন সদস্য বলেন, লিভার সিরোসিসের রোগীদের শরীরে রক্তক্ষরণ হয়ে থাকে। ‘সঠিক’ চিকিৎসা না হলে থেমে থেমে শরীর থেকে রক্ত বের হয়। তখন হিমোগ্লোবিনও কমে আসে। খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রেও তা-ই হচ্ছে। হিমোগ্লোবিনের মাত্রা ঠিক রাখতে মাঝেমধ্যে তাঁকে রক্ত দিতে হয়। রক্ত বের হওয়ার উৎস চিহ্নিত করে তা বন্ধ না করলে পরিস্থিতি ভয়াবহ হতে পারে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) অবস্থার উন্নতি হয়নি। তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। যার ফলে তাঁর জীবন সংকটাপন্ন। এ জন্য আমরা দ্রুত তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ পাঠানোর দাবি করছি।’

খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এবং দলের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘তাঁর অবস্থা গত বুধবার যা ছিল তা-ই আছে। চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছেন। কিন্তু তাঁদের তেমন কিছু করার নেই। কারণ তাঁর যে ধরনের চিকিৎসা দরকার, সেই প্রযুক্তি আমাদের দেশে নেই। দেশবাসীর মতো আমরাও তাঁর শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন।’

জাহিদ হোসেন বলেন, ৭৬ বছর বয়সী খালেদা জিয়া নানাবিধ রোগে আক্রান্ত। প্রতিদিনই মেডিক্যাল বোর্ড বসে তাঁর চিকিৎসা কী হবে, তা ঠিক করছেন। রক্তক্ষরণ বন্ধে তাঁকে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে।

চিকিৎসকরা বলছেন, খালেদা জিয়ার শরীরে এ পর্যন্ত পাঁচবার বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে। প্রতিবারই তিনি মারাত্মক মৃত্যুর ঝুঁকিতে ছিলেন। রক্তক্ষরণ হলে শরীর এতটাই দুর্বল হয়ে পড়ে যে তিনি উঠে দাঁড়ানোর মতো শক্তি হারিয়ে ফেলেন। রক্ত বমির কারণে তার খাওয়াদাওয়ায় অনীহা বেড়েছে।

বিএনপির নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানায়, গত বুধবার খালেদা জিয়ার এন্ডোস্কোপি করার কথা ছিল। কিন্তু শারীরিক অন্য জটিলতা থাকায় তা হয়নি। গতকাল রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত চিকিৎসকরা এন্ডোস্কোপি না করে ওষুধ প্রয়োগের মাধ্যমে রক্তক্ষরণ বন্ধের চেষ্টা করছেন।

এর আগে ১৩, ১৭ ও ২৩ নভেম্বর বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের শরীরে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরে ২৪ নভেম্বর চিকিৎসকরা তাঁর এন্ডোস্কোপি ও কলোনস্কোপি করেন। ২৮ নভেম্বর রাতে গুলশানে খালেদা জিয়ার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলনে মেডিক্যাল বোর্ড জানায়, বিএনপির প্রধান লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত। তিনি মৃত্যুর ঝুঁকিতে আছেন।


এমবি
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন