খালেদা জিয়ার জীবন নিতে চক্রান্ত করছে আওয়ামী লীগ: ফখরুল


বেগম জিয়ার জীবন কেড়ে নিতে চক্রান্ত চলছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলগমীর। এ জন্যই সরকার তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে দিচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
শনিবার (০৪ ডিসেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মির্জা ফখরুল গণআন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন। এদিকে কর্মসূচির এক পর্যায়ের ছাত্রদল কর্মীদের হাতাহাতিতে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।
হাতে প্ল্যাকার্ড ব্যানার আর স্লোগানে বেগম জিয়ার বিদেশে উন্নত চিকিৎসার দাবি। তবে সমাবেশ ঘিরে দফায় দফায় ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিটের কর্মীদের মাঝে বাকবিতণ্ডা আর হাতিহাতির ঘটনায় বিশৃঙ্খলার মধ্যে শুরু হয় দলীয় নেত্রীর সুচিকিৎসার দাবিতে পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি।
পুরানা পল্টন থেকে হাইকোর্ট পর্যন্ত জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে প্রধান সড়কে অবস্থান নিয়ে সমাবেশ শুরু করে নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের এই সমাবেশে অংশ নিতে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সকাল থেকেই মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকেন তারা। সমাবেশের কারণে একপর্যায়ে বন্ধ হয়ে যায় যানচলাচল।
সমাবেশে সাবেক ছাত্রনেতা আর সিনিয়র নেতারা দাবি জানান বেগম জিয়ার উন্নত চিকিৎসায় অবিলম্বে বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে সরকারকে। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচির মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন তারা।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান বলেন, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে জামিন ও খালাস পায়। আর দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে ন্যূনতম মৌলিক অধিকার চিকিৎসা দেওয়া। সেটার জন্য তাকে বিদেশে যেতে দিচ্ছে না সরকার।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, রাজনীতি থেকে সরিয়ে দেয়ার ষড়যন্ত্রের পাশাপাশি বেগম জিয়ার জীবন নিয়েও এখন চক্রান্ত করছে ক্ষমতাসীনরা।
ফখরুল আরও বলেন, ষড়যন্ত্র করে তাকে সাজা দেওয়া হয়েছে। তাকে রাজনীতি থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়ার জন্য উন্নত চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে না।
বিএনপি নেত্রীকে দ্রুত বিদেশে পাঠানো না হলে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে দাবি আদায়ের হুঁশিয়ারি দেন মির্জা ফখরুল।
ফখরুল আরও বলেন, বেগম খালেদা জিয়া না থাকলে গণতন্ত্র থাকবে না। খালেদা জিয়া বেঁচে না থাকলে আওয়ামী লীগও থাকবে না।
দলীয় নেত্রীর বিদেশে চিকিৎসার দাবিতে গত ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হয় দশ দিনব্যাপী বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় কর্মসূচি। শনিবার ছাত্রদলের বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো দলের কেন্দ্রীয় কর্মসূচি।
এইচকেআর
